বাংলাহান্ট ডেস্ক : সদ্য প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের (Madhyamik Pariksha) ফল। এখনো প্রকাশ হয়নি উচ্চমাধ্যমিকের (Higher Secondary Education) ফলাফল। উচ্চমাধ্যমিকে চলতি বছর থেকেই চালু হচ্ছে সেমিস্টার পদ্ধতি। পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ একাধিক বিষয় যুক্ত হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে।
এছাড়াও বৃত্তিমূলক পাঠ্যক্রমে একাধিক বিষয়ে যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন স্কুলে। বৃহস্পতিবার সংসদের (West Bengal Council of Higher Secondary Education) পক্ষ থেকে এই সম্পর্কিত চারটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মাধ্যমিকে নূন্যতম কত নম্বর থাকলে উচ্চমাধ্যমিকের সাবজেক্ট কম্বিনেশন নির্বাচন করা যাবে সেই ব্যাপারে জানানো হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষা ছাড়া তিনটি সেট থেকে পড়ুয়ারা ঐচ্ছিক বিষয় নির্বাচন করতে পারবেন।
আরোও পড়ুন : রচনা গালে চুমু খেতেই শপথ এই তারকার! ‘আর ধুচ্ছি না ‘, বলতেই ভাইরাল সেই সেলিব্রেটির ভিডিও
প্রথম সেট-এ ফিজ়িক্স অথবা নিউট্রিশন, রসায়ন অথবা ভূগোল, অর্থনীতি বা নৃতত্ত্ব বা সায়েন্স অফ ওয়েল বিয়িং-এর মতো একাধিক সাবজেক্ট কম্বিনেশন থাকছে। অ্যাকাউন্ট্যান্সি, বিজ়নেস স্টাডিজ়, অর্থনীতি বা সায়েন্স অফ ওয়েল বিয়িং বা অ্যাপ্লায়েড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর মতো বিষয় থাকছে দ্বিতীয় সেট-এ।
পলিটিক্যাল সায়েন্স বা বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, এডুকেশন বা নিউট্রিশন-এর মতো ‘সাবজেক্ট কম্বিনেশন’ থাকতে চলেছে তৃতীয় সেট-এ। মাধ্যমিকে জীবন বিজ্ঞানে নূন্যতম ৩৫% নম্বর থাকতে হবে বায়োলজিক্যাল সাইন্স পড়ার জন্য। মাধ্যমিকের অংক পরীক্ষায় নূন্যতম 35% থাকতে হবে কস্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন, অ্যাকাউন্ট্যান্সি, সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা সায়েন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, কম্পিউটার সায়েন্স, স্ট্যাটিস্টিক্স এবং অঙ্ক নিয়ে পড়ার জন্য।
আরোও পড়ুন: এবার থেকে সপ্তাহে আরও কম দিন খোলা থাকবে ব্যাংক! ছুটির নিয়মে আসছে বড় পরিবর্তন
মাধ্যমিকে ভৌত বিজ্ঞানে নূন্যতম ৩৫% নম্বর থাকতে হবে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন নিয়ে পড়তে চাইলে। মাধ্যমিকের ভূগোলে ৩৫ শতাংশ নম্বর থাকতেই হবে কম্বিনেশনে ভূগোল রাখতে হলে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সেক্রেটারি প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের কথায় “উচ্চ মাধ্যমিকে কিছু কিছু বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে অঙ্ক বা অন্যান্য বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান থাকা প্রয়োজনীয়। যাতে পড়াশোনার গুণমান বজায় থাকে।”
এর ফলে যেমন ভবিষ্যতের জন্য পড়ুয়াদের কর্মদক্ষ করে তোলা সম্ভব হবে। তেমনি পড়ুয়ারাও আগেভাগেই সেই বিষয় সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি করতে পারবে। জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে যথা সম্ভব ইন্টারডিসিপ্লিনারি ‘সাবজেক্ট কম্বিনেশন’ তৈরি করা হয়েছে। যাতে কেউ অঙ্কের পাশাপাশি সংস্কৃত বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাশাপাশি জীববিদ্যার মতো বিষয় পড়তে পারে। সেই জন্যই বিভিন্ন ‘সেট’ তৈরি করা হয়েছে।
পাশাপাশি, ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে কিছু ‘অ্যামালগামেটেড’ বিষয়ও রাখা হয়েছে। যাতে বিভিন্ন জটিল বিষয়কে সরলীকৃত ভাবে পড়ুয়াদের কাছে নিয়ে যাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ— অ্যাপ্লায়েড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর কথা বলা যেতে পারে। সংসদের সঙ্গে স্কুলগুলি সব সময় যোগাযোগে রয়েছে। এই বিষয়গুলি যে হেতু স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ের বর্তমান শিক্ষকরাই পড়াতে পারবেন, তাই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলেও এ ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না।”