বাংলাদেশের মহিলারা পাচ্ছে না তো ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার”-র টাকা? তদন্তে নামল প্রশাসন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলার মহিলাদের জন্য লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmi Bhandar) সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই প্রকল্পের অধীনে ইতিমধ্যেই টাকা পেতে শুরুও করেছেন বাংলার মহিলারা। কিন্তু সীমান্ত অঞ্চলে কিছুটা অন্য চিত্রই ধরা পড়েছে।

সূত্রের খবর, কাঁটাতারের ওপারে রয়েছে দক্ষিণদিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের হাঁড়িপুকুর, উচা গোবিন্দপুর, নিচা গোবিন্দপুর সহ একাধিক গ্রাম। এই গ্রামগুলো ভারতের হলেও, আপাতদৃষ্টিতে দেখতে গেলে তা বাংলাদেশের বলে মনে হবে।

'Lakshmir Bhandar'

বিষয়টা হল, এই সকল গ্রাম সংলগ্ন বাংলাদেশের বাসিন্দারাও নিজেদের ভারতীয় নাগরিক বলে নানাভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে, আর নানারকম সুযোগ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। সেই কারণে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় প্রশাসন আরও বেশি কড়াকড়ি নজরদারি রাখে।

এই লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে সীমান্ত লাগোয়া ভারতের বাসিন্দারাও ফর্ম ফিলাপ করেছেন। তাই সেক্ষেত্রে ওই ফর্মগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের পর সেখানকার মহিলাদের টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নথি যাচাই করে দেখা হবে, তারপর সবুজ সংকেত পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

দেখা হবে যাতে এদেশের বৈধ নাগরিক মহিলারা সকলেই এই প্রকল্পের সুবিধা পান। হিসেব বলছে সীমান্ত লাগোয়া প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দার অ্যাকাউন্টে এখনও এই অর্থ পাঠানো হয়নি। সবকিছু প্রমাণ দেখে তবেই তা পাঠানো হবে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর