১৫০ বছরের ইতিহাসে ধাক্কা! শহর থেকে চিরবিদায় নিচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ট্রাম, বড় সিদ্ধান্তের পথে রাজ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৫০ বছরের দীর্ঘ সফর। তবে এবার সেই সোনালী অধ্যায়ের ইতি। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কলকাতা থেকে শতাব্দীপ্রাচীন ট্রাম (Kolkata Tram) পরিষেবা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। তাহলে কি এবার বরাবরের মতো স্মৃতির পাতায় ঐতিহ্যবাহী এই যান?

নস্টালজিয়া সঙ্গে করে বিদায়ের পথে ‘বোঝা’ ট্রাম (Kolkata Tram)

সত্যজিৎ রায়ের ‘মহানগর’ হোক কিংবা দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যোমকেশ বক্সি’, টলিউড-বলিউড মিলিয়ে সবেতেই অঙ্গাঙ্গীভাবে জুড়ে রয়েছে কলকাতার (Kolkata) ট্রাম। কত নস্টালজিয়া। তবে সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে ধিকধিক করে চলা যানের হয়তো আর প্রয়োজন পড়বে না দ্রুতগতির শহরে।

দূষণ ছড়ায় না, ধোঁয়ায় জ্বালাও ধরেনা চোখে, তাহলে দোষটা কোথায়? বড্ড ঢিলে এই যা। আস্তে আস্তে নিজের মনে চলতে থাকে। সম্প্রতি এক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই হলফনামা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ট্রাম নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে চলেছে রাজ্য। এর আগে ট্রাম নিয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল উচ্চ আদালত।

এক জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম নিয়ে কী সরকারের নীতি জানতে চেয়েছিল আদালত। এবার এই নিয়েই আপাতত নিয়মিতভাবে ট্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চলেছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে কেবলমাত্র টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট- ধর্মতলা ও ধর্মতলা- শ্যামবাজার এই তিনটি রুটে ট্রাম চলে তিলোত্তমার বুকে। এবার তাও ভ্যানিস হওয়ার তোড়জোড় শুরু।

tram case mamata hc

আরও পড়ুন: DA মামলার শুনানি না হয়েও জিতে গেল রাজ্য? সুপ্রিম কোর্টের আপডেটে হতাশায় সরকারি কর্মীরা

একাধিক সময়ে ট্রাম নিয়ে যানজটের সমস্যার অভিযোগ উঠে আসে। আবার শহরের বুকে পাতা ট্রাম লাইনের জেরে সমস্যায় পড়তে হয় বাইক, স্কুটির মতো ছোট গাড়িগুলিকে। এর জেরেই এই বড় সিদ্ধান্তের পথে রাজ্য। তবে নিত্যদিনের পরিষেবা থেকে বিরত থাকলেও ট্রামের জয়রাইড থাকবে কলকাতায়। দেশি, বিদেশি পর্যটকদের জন্য ধর্মতলা থেকে ময়দান পর্যন্ত লুপ লাইনে ট্রামের জয়রাইড নেওয়া যাবে। কালের নিয়মে এবং দ্রুতগতির দুনিয়ায় ট্রাম (Kolkata Tram) বন্ধের সিদ্ধান্তে ট্রামপ্রেমীদের মন রীতিমতো ভারাক্রান্ত।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর