রাজ্যের ৪ বছরের অস্থায়ী কর্মীরা এবার স্থায়ী হবেন, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভতার দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের একাংশ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন।আন্দোলনকারীদের একাধিক দাবির মধ্যে অন্যতম একটি দাবি, সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করতে হবে। সম্প্রতি এমনটাই ঘটেছে বিহারে। বিহার পারলে কেন পশ্চিমবঙ্গ পারবে না?

এই নিয়ে জোরালো হয়ে উঠেছে আন্দোলন। যদিও মমতায় সরকার আন্দোলনকারীদের এই দাবিতে কর্ণপাত করেনি। তবে সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরো ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেন রাজ্যের সরকারি কর্মী ও পেনশন প্রাপকদের জন্য। দু মাসের ব্যবধানে মোট ৮ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি হল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।

আরোও পড়ুন : সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে চুরি! খোয়া গেল লাখ টাকার দামের দরকারি জিনিস

তবে এই আবহে লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের আরও একটি পড়শি রাজ্য বিহারের দেখানো পথে হাঁটল। এই সিদ্ধান্তের ফলে সেই রাজ্যের অস্থায়ী সরকারি কর্মীদের মুখে এখন চওড়া হাসি। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ঘোষণা করলেন সে রাজ্যের চার বছরের বেশি অস্থায়ী সরকারি কর্মীদের স্থায়ী করা হবে। সে রাজ্যে এর আগে অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী হতে গেলে লাগাতার আট বছর কর্মরত থাকতে হত।

আরোও পড়ুন : সোনায় সোহাগা এবার শিয়ালদা রুটের যাত্রীদের! নয়া ঘোষণা রেলের, সুবিধা বাড়বে আমজনতার

অন্যদিকে, ভোটের আবহে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্যও উঠে আসছে বড় সুখবর। জানা যাচ্ছে হোলির আগে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারে মোদি সরকার। পাশাপাশি সিকিমের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও একটি বড় সুখবর রয়েছে। সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হল, পুরনো পেনশন স্কিম কার্যকর হচ্ছে সিকিমে।

636537 govtemployees pti 071017 3

সিকিম সহ গোটা দেশে ওপিএস চালুর দাবি উঠেছিল। এই আবহে সিকিম সরকার ওপিএস কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিকিম সরকার জানিয়েছে, যারা ২০০৬ সালের ৩১ মার্চের আগে কাজে যোগদান করেছেন তাদের ক্ষেত্রে বলবৎ হবে ওপিএস। উত্তর-পূর্বের প্রথম ও প্রথম এনডিএ শাসিত রাজ্য হিসাবে সিকিম চালু করল ওপিএস।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর