বাংলাহান্ট ডেস্ক: তাঁর নাচের প্রতিটা ছন্দে লেখা হত কাহিনি। তালকে নিজের বশে এনে রেখেছিলেন। বয়সের বাধা পেরিয়ে নিজস্ব একটি ব্র্যান্ড তৈরি করে ফেলেছিলেন। তিনি সরোজ খান (Saroj Khan)। নব্বইয়ের দশকে নাচ আর সরোজ খান সমার্থক ছিল। পুরনো হিন্দি সিনেমার যেকোনো আইকনিক গানে নাচের কোরিওগ্রাফারের খোঁজ করতে গেলেই উঠে আসবে তাঁর নাম। শ্রীদেবী এবং মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে অদ্ভূত সুন্দর সব নাচের স্টেপ তৈরি করেছিলেন সরোজ খান।
কিন্তু সব অভিনেত্রীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা তেমন মধুর ছিল না। বা বলা ভাল, রেখা (Rekha) সম্ভবত সরোজ খানকে পছন্দ করতেন না। ‘শেষনাগ’ ছবিতে দুজনের বিবাদ নিয়ে চর্চা হয় এখনো। সেসময়ে রেখা আর সরোজ খানের মাঝে বিতর্কের খবর ছিল হট গসিপ। উপরন্তু সরোজের কথায় রেখা কেঁদে ফেলেছিলেন। তাতে অনেকেই কোরিওগ্রাফারকেই দোষী ঠাউরে নিয়েছিলেন। কিন্তু আসল কাহিনিটা কী ছিল তা পরে জানিয়েছিলেন সরোজ খান।
পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নাচটি যেদিন শুট হবে তার আগে থেকেই তিনি রিহার্সাল করার জন্য ডেকেছিলেন রেখাকে। তাঁর টিম খুব কষ্ট করে নাচটা তৈরি করেছিল। কিন্তু পরপর তিনদিন ডাকা হলেও রেখা একদিনও রিহার্সাল করতে আসেননি। উপরন্তু শুটের দিন এসে তিনি দাবি করেন, শুটিং করতে পারবেন না কারণ তাঁর শরীর ভাল নেই।
এরপরেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে সরোজ খানের। তিনি সরাসরি রেখাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁকে নিয়ে কি কোনো সমস্যা আছে অভিনেত্রীর? নয়তো একদিনও তিনি রিহার্সালে এলেন না। এখন বলছেঞ শুটিংও করবেন না। তিনি কি কাজ করতে চান না তাঁর সঙ্গে? তেমন ব্যাপার হলে প্রযোজককে বলে কোরিওগ্রাফার বদলে নিন রেখা।
সরোজ খান এই কথাগুলো বলার পরেই কেঁদে ফেলেন রেখা। অভিনেত্রীর চোখে জল দেখে একটু ছমকে গিয়েছিলেন কোরিওগ্রাফার। তিনি তো এমন কিছু বলেননি যাতে রেখার কষ্ট হয়! তবে তাঁর মতে অভিনেত্রীর শুটিংটা করা উচিত। তখন রেখাও বলেছিলেন, তিনি শুটিং করবেন।
ওই সাক্ষাৎকারেই সরোজ খান বলেছিলেন, কোনো অভিনেতা অভিনেত্রীর যদি পছন্দের কোরিওগ্রাফার থাকে তাহলে তাকে ডাকতেই পারেন। গোবিন্দা, ডিম্পল কাপাডিয়া সেটাই করেন। রেখাও হয়তো তাঁকে পছন্দ করেন না। কিন্তু তাতে তাঁর কোনো ক্ষোভ নেই।