বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক মহিলার উপর মর্মান্তিক অত্যাচারের ঘটনার সাক্ষী থাকলো মালদা। পরপুরুষের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। চরিত্র ভালো নয়। এই সন্দেহে এক মহিলার উপর অকথ্য অত্যাচার করলো পাড়া-প্রতিবেশীরা। সালিশি সভা বসিয়ে কেটে নেওয়া হল মহিলার মাথার চুল। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই মহিলার কপালে লিখে দেওয়া হলো ৪২০! অত্যাচারের পর গ্রাম থেকে তাড়িয়েও দেওয়া হল ওই নির্যাতিতা মহিলাকে। আধুনিক যুগে দাঁড়িয়েও এই ধরনের মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকলো মালদহের চাঁচল থানার ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্ডারনের বেদে পাড়া।
সূত্রের খবর, দুই বছর আগে মারা যান এই মহিলার স্বামী। এরপর দুই সন্তানকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন ওই মহিলা। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, এই মহিলার সাথে প্রায় মাসখানেক আগে এক ব্যক্তির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই মহিলা নাকি মাঝেমধ্যে রাত্রিবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যেত। এই ঘটনা পাড়া-প্রতিবেশীকে জানায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপর বসে সালিশি সভা। এই সভা থেকেই কেটে নেওয়া হয় মহিলার মাথার চুল। এরপর ওই মহিলার কপালে জোর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিখে দেওয়া হয় ৪২০। এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গেছে, এই ঘটনাটি প্রায় তিন দিন আগের। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ সুপার চাঁচল থানার আইসি ও চাঁচলের এসডিপিও-র কাছেও রিপোর্ট তলব করেছেন।
জানা গেছে, এই ঘটনাটি যে জায়গায় ঘটেছে সেটি মূলত বেদে সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকা। এখানকার আইন কানুন বেদেরাই ঠিক করেন। অন্যদিকে, মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি নিয়ে সুয়ো মোটো করা হয়েছে। আইন নিজের হাতে কেউ তুলে নিতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছি।