বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাঝরাতে রীতিমতো উত্তাল এসএসকেএম হাসপাতাল ( SSKM Hospital )। ট্রমা কেয়ারে ভাঙচুর চালালো রোগীর পরিজনরা। সাথেই উঠল কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ।
এদিন মধ্যরাতে এসএসকেএমে গুরুতর জখম অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল মহম্মদ ইরফান নামের এক যুবককে। এরপর সেখানের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে মৃত্যু নয়! মৃত্যুর শংসাপত্র লেখা শুরু হল ঝামেলার।
রোগীর মৃত্যুর পর মৃত্যুর শংসাপত্র লেখাকে কেন্দ্র করে উত্তাল পরিস্থিতি এসএসকেএম হাসপাতালে ।ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুর করা হয়েছে। রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদেরও মারধর করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তি হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয় সুশ্রুসার জন্য। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরই মৃত্যুর শংসাপত্র লেখা গিয়ে সূত্রপাত হয় ঝামেলার।
চিকিৎসক দের অভিযোগ, রোগী মৃত্যুর পর হঠাৎই কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ওপর চড়াও হন মৃত রোগীর পরিজনরা। কর্তব্যরত মোট ৪ জন চিকিৎসককে ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি আক্রান্ত এক চিকিত্সক প্রীতম অভিযোগ, করেন ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চেয়ার, টেবিলও ভাঙচুর করা হয়। হামলা চালানো হয় এক্স-রে মেশিনের উপরেও।
ঘটনার খবর পেয়ে মধ্যরাতেই এসএসকেএমে পৌঁছয় ভবানীপুর থানার পুলিশ। পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ঠিকই তবে হাসপাতাল চত্বরে এ ভাবে হামলা এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কর্মীদের মধ্যে । যারা ভাঙচুর করেছেন, তাদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন এসএসকেএমের আক্রান্ত চিকিৎসকরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।