বড় সুখবর আমজনতার জন্য, অনেকটায় দাম কমছে শাকসবজি এবং খাদ্যদ্রব্যের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) প্রসঙ্গে এবার দ্বিগুণ স্বস্তি মিলল। এমনিতেই গত জুলাই মাসের শুরুতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কিছুটা কমেছিল। তবে, এবার সেই রেশ বজায় রেখেই পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হারেও বড় পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রক মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে যে, পাইকারি মূল্য ভিত্তিক সূচক (Wholesale Price Index, WPI) জুলাই মাসে ১৩.৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

মন্ত্রকের মতে, এর আগে জুন মাসে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১৫.১৮ শতাংশ। পাশাপাশি, গত মে মাসে তা ছিল ১৫.৮৮ শতাংশ। যা পরে সংশোধন করে ১৬.৬৩ শতাংশ করা হয়। এমতাবস্থায়, গত বছরের জুলাইয়ের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে তখন পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১১.৫৭ শতাংশ। এমতাবস্থায়, একটানা ১৬ মাস যাবৎ পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশের উপরে রয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, এর আগে জুলাই মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৭ শতাংশের নিচে নেমে আসে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে, পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার দুই অঙ্কের ওপরে রয়েছে। এর আগে, নিউজ এজেন্সি রয়টার্স তাদের পোলে জুলাই মাসের পাইকারি মূল্য ভিত্তিক সূচকটিকে ১৪.২০ শতাংশে অনুমান করেছিল। এদিকে, জুলাই মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হারও কমে দাঁড়ায় ৬.৭১ শতাংশে। প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হারও জুলাই মাসে ৮.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। যা তার এক মাস আগে পর্যন্ত ৯.২ শতাংশ ছিল। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রক জানিয়েছে, জুলাই মাসের মুদ্রাস্ফীতির তথ্যে প্রধানত খনিজ তেল, খাদ্যদ্রব্য, অপরিশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, ধাতু, বিদ্যুৎ এবং রাসায়নিক পণ্য মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।

খাদ্যদ্রব্যের দাম কমবে: জুলাই মাসে খাদ্যদ্রব্যের তুলনামূলকভাবে দাম কমে যায় এবং এক্ষেত্রে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার জুন মাসের ১৪.৩৯ শতাংশ থেকে নেমে পৌঁছে যায় ১০.৭৭ শতাংশে। সবজির পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হারও অনেকাংশেই কমেছে এবং জুন মাসের ৫৬.৭৫ শতাংশ থেকে নেমে ১৮.২৫ শতাংশে চলে আসে। তবে পেট্রোল ও ডিজেলের মতো জ্বালানির ক্ষেত্রে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে এবং তা বর্তমানে ৪৩.৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যা জুনে ছিল ৪.৩৮ শতাংশে।

MONEY IN HANDS

এদিকে, কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি জুলাই মাসে ৮.১৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যেখানে তৈলবীজের জন্য WPI সূচক শূন্যের থেকে ৪.০৬ শতাংশে নিচে ছিল। এছাড়া জুলাইয়ে প্রাথমিক পণ্যের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার ২.৬৯ শতাংশ কমে ১৫.০৪ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলতি বছর তিনবার রেপো রেট বাড়িয়েছে RBI। যার ফলে গত মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত রেপো রেট ১.৪০ শতাংশ বেড়েছে। যা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর