বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ১২ ই ফাল্গুন ১২৪৪ বঙ্গাব্দে বীরভূমে জন্ম হয় কালী সাধক মহাপুরুষ বামাক্ষ্যাপার (Bamakhepa)। তাঁর আসল নাম ছিল বামচরণ চট্টোপাধ্যায়। সর্বানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন তাঁর পিতা। শৈশব থেকেই দেবভক্তি প্রবল থাকায় বড় হয়ে তিনি একজন হিন্দু তান্ত্রিক হয়ে ওঠেন। তিনি মা তারার পরম ভক্ত ছিলেন। এবং তিনি মন্দিরের কাছে শ্মশানঘাটে কালী মায়ের সাধনা করতেন।
ছেলেবেলায় গৃহত্যাগ করে তিনি তারাপীঠে (Tarapith) বসবাসকারী কৈলাশপতি শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তখন থেকেই তিনি দ্বারকা নদের তীরে যোগ ও তন্ত্রসাধনা করেন। পরবর্তীতে তিনি মল্লরাজাদের মন্দিরময় গ্রাম মালুটিতে যোগ সাধনার জন্যে গিয়েছিলেন। তারপর বিগত ১৮ মাস তিনি দ্বারকার তীরে মৌলাক্ষী দেবীর মন্দিরে সাধনা করেছিলেন। এরপর তিনি ধীরে ধীরে তারাপীঠের প্রধান ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর অলৌকিক ক্ষমতার জেরে ভক্তরা তাঁর কাছে কোন দুরারোগ্য ব্যাধি এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য যেত। তিনি কোন নিয়ম না মেনেই ঠাকুররে থালা থেকে নৈবেদ্য তুলে খেতেন।
পুরাণ মতে কথিত আছে দেবী তারা প্রথমে ভয়ংকর বেশে বামাক্ষ্যাপাকে দর্শন দিয়ে, পরে তাঁকে মাতৃবেশে কোলে তুলে নিয়েছিলেন। সাধক বামাক্ষ্যাপাকে নিয়ে প্রচুর গান, পল্লীগীতিও রচিত আছে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনিরামকৃষ্ণের সংস্পর্শে আসেন। তাঁরপর ইয়াত সাথে সাক্ষাতের জন্য মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ তাহকুর গিয়েছিলেন। বামাক্ষ্যাপা তাঁকে ফেরার পথে ট্রেন থেকে দেখতে পাওয়া ছাতিম গাছের নিচে বসে ধ্যান করতে বলেছিলেন। এবং পরে সেখানেই শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও তিনি আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছিল। মা কালীর সাধক হিসাবে বামাক্ষ্যাপার ক্ষতি সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে আছে।