বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শক্তির উৎস মা কালী (Ma kali), জীবনের সবক্ষেত্রে তাঁর ভক্তদের সহায় থাকেন। ভক্তের যে কোন দুঃসময়ে মা তাঁর পাশে দাঁড়ায়। সমস্ত শক্তির উৎস তিনি। মায়ের স্থান তারাপীঠ সকলের কাছে এক মহান পবিত্রভূমি। বহু মানুষ এখানে সাধনার জন্য আসেন। মায়ের কাছে পুজো দিয়ে পূন্যার্জনের উদ্দ্যেশ্যে বহু ভক্ত প্রতিদিন তারাপীঠে আসেন।
কালী ঠাকুর হলেন একজন হিন্দু দেবী। তার অন্য নাম শ্যামা বা আদ্যাশক্তি বা মা তারা। বাঙালি হিন্দু সমাজে কালী ঠাকুর বা তারা মায়ের পূজা খুবই ধুমধাম করে করা হয়। তারা মা হলেন হিন্দু দেবী কালীর একটি বিশিষ্ট রূপ। ইনি হলেন দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা।
তারা মাই পারেন তাঁর সকল ভক্তকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করতে। জীবনের চরমতম মূহুর্তে মা তাঁর ভক্তদের পাশে এসে দাঁড়ান। মা তারার শক্তির কোন বিকল্প হয় না। সমস্ত শক্তির উৎস তিনি। তাই তারাপীঠ সকলের কাছেই এক সাধনার স্থান। যখন সংসারের মা, বাবা, ভাই, বোন সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন তারা মা তাঁকে আশ্রয় দেয়। তারা মা তাঁকে শক্তি যোগায়। জীবনে আবার নতুন করে উঠে দাঁড়াতে সহায়তা করে। হেরে যাওয়ার পরেও জীবনে ভালো কিছু করার ইচ্ছাকে জাগিয়ে তোলে।
সাধক বামাক্ষ্যাপা (Bamakhepa) ছিলেন কালী মায়ের সাধক। তাঁর দুর্বল সময়ে মা তারা তাঁকে অনেক শক্তি জুগিয়ে তাঁর পাশে ছিলেন। সেই থেকে দুর্বল সময়ে একমাত্র ভরসা তারা মা। বিপদে আপদে তাই সবাই তারা মায়ের শরণাপন্ন হন।
ভক্তি ভরে মাকে ডাকলে, তারা মা তাঁর সব ভক্তদেরই মুক্তির উপায় বলে দেন। সংসারের সব দুঃখ কষ্ট দূর করেন তারা মা।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার রামপুরহাট শহরের কাছে তারাপীঠ অবস্থিত। তারাপীঠের মা তারার মন্দির হিন্দুদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। এছাড়াও দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাটেও মা তারার দর্শন পাওয়া যায়। মা তারা জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে তাঁর ভক্তের পাশে থেকে জীবনকে সুন্দর এবং মার্যিত করে তোলে। তাই জগত সংসারে মা তারার মহিমা অসীম।