বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ষাটের দশকের শুরুতে সন্তোষী মায়ের (Santoshi Maa) প্রথম প্রচার শুরু করা হয়েছিল। মৌখিক কথা-কাহিনী, ব্রতের বিবরণী সম্বলিত পুথি, পোষ্টার ইত্যাদির মাধ্যমে সন্তোষী মায়ের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। দেবীর জন্ম শুক্রবারে পূর্ণিমা তিথিতে তাই। সেহেতু সন্তোষী মার পূজার জন্য শুক্রবার দিনটি বেছে নেওয়া হয়।
সন্তোষের অধিষ্ঠাত্রী এই দেবী, তার ভক্তের সকল মনোষ্কামনা পূর্ণ করেন বলে তাঁকে সন্তোষী মা বলা হয়। মা সন্তোষীর পূজাতে টক জাতীয় দ্রব্য এবং আমিষ দ্রব্য প্রদান নিষেধ। মায়ের প্রসাদ গো জাতীয় প্রাণীকে অল্প পরিমাণে প্রদান করতে হবে। প্রতি শুক্রবার করে সন্তোষী মায়ের ব্রত করা হয়। ঘট স্থাপন করতে হবে বট, কাঠাল, পাকুড় পল্লব দ্বারা। আম পল্লব দেওয়া যাবে না। পূজোতে সব ফুল, বেলপাতা দিতে হবে। ঘটে পুত্তলিকা অঙ্কন করতে হবে সিঁদুরে ঘি মিশিয়ে ঘটে গোটা ফল হিসাবে কলা দিতে হবে।
”ॐ শ্রী সন্তোষী (Santoshi Maa) মহামায়ে গজানন্দন দায়িনী শুক্রবারঃ প্রিয়ে দেবী নারায়ণী নমস্তুতে”।
১৬ শুক্রবার এই ব্রত করতে হয়। মায়ের পূজোতে ঘিয়ের প্রদীপ দিতে হয়। ভক্তি ভরে শুক্রবারে স্নান সেড়ে শুদ্ধ বস্ত্রে ব্যক্তি নিজেই মায়ের পূজো করতে পারেন। ভোগে দিতে হবে ভেজানো ছোলা, আঁখের গুড়, মিষ্ট ফল। পূজোর পর উপবাস ভাঙ্গার জন্য দুধ, ছোলা ঘিতে আলু সহিত ভেজে, মিষ্ট ফল, জল গ্রহণ করতে হবে।
ব্রত উদযাপনের দিন ৭ টি বালককে ভোজোন করাতে হবে। ব্রত উদযাপনের দিন ছানার মিষ্টি না দিয়ে ১৬ টি নিমকী চিনির রসে ডুবিয়ে মায়ের কাছে উৎসর্গ করতে হবে। একটি নারকেল ফাটিয়ে নারকেলের জল মায়ের চরণে দিতে হবে। এই ভাবে মা সন্তোষীর ব্রত করলে, মায়ের কৃপায় আপনার জীবন সুখে শান্তিতে ভরে যাবে। এবং মায়ের কৃপায় সব অমঙ্গল, দুঃখ, অশান্তি দূর হবে। যোধপুরে প্রাচীনকাল থেকেই সন্তোষী দেবীর একটি মন্দির আছে।