1983 সালে তৎকালীন ভারত অধিনায়ক কপিল দেবের হাত ধরে প্রথম বার বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় দল। তারপর সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল 2003 সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠলেও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া কাছে পরাজিত হয়েছিল ভারত। তারপর 2011 সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে 28 বছর পর বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। তবে ভারত যেদিন 2011 সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল সেই দিনটি ছিল প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের দিন।
একটি অনলাইন প্লাটফর্মে এইদিন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন ভারতের যেদিন 2011 সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল সেই দিনটি ছিল আমার কাছে খুবই আনন্দের। সেই দিন ভারতের বিশ্বকাপ জেতার সেই মুহূর্তটা আজও আমার মনে পড়ে। শেষ বলে ধোনির ছক্কা মেরে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে সারাজীবন রয়ে যাবে। সেই দিন আমি মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলাম। ভারত যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল সেই সময় আমি কমেন্ট্রি বক্স থেকে নেমে বাইরে চলে গিয়েছিলাম। আমি দেখেছিলাম পুরো ভারতীয় দল কতটা আনন্দ করছে, বিশ্বকাপ জেতার পর পুরো টিম ইন্ডিয়া সারা মাঠ ঘুরে বেড়িয়েছিল।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বিশ্বকাপ জেতার জন্য পুরোপুরি ভাবে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অবদান দিলেও সেই বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে অন্যতম কারিগর ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। কারণ সেই বিশ্বকাপ জয়ী দলে এমন সাত থেকে আট জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন যারা নিজেদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বে। তারা হলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ, যুবরাজ সিং, এম এস ধোনি, জাহির খান, হরভজন সিং, আশিস নেহেরা। লড়াই করে ম্যাচ জেতার পরম্পরা শুরু করে গিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। এছাড়াও ঘরে এবং বাইরে সমান ভাবে ম্যাচ জেতা শিখিয়ে ছিলেন দাদাই। আর সেই পরম্পরায় ধরে রেখেছিলেন যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্র সেওয়াগ। তাই 2011 বিশ্বকাপ জেতার পিছনে সৌরভ গাঙ্গুলীর অবদানও রয়েছে।