বাংলাহান্ট ডেস্ক: মানুষের দুঃসময় কখন আসে কেউ বলতে পারে না। যেমনটা ভাবতে পারেননি জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার রেমো ডিসুজার (remo d’souza) স্ত্রী লিজেলও। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই দাবি করছেন লিজেল। বাবার ডায়ালিসিস করতে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নিয়েই এই চরমতম পদক্ষেপটা নিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের মিলাত নগরে বাসস্থান থেকেই উদ্ধার হয় রেমো ডিসুজার শ্যালক জেসন ওয়াটকিনসের (jason watkins) দেহ। ঘটনার সময়ে গোয়াতে এক বিয়েবাড়িতে ছিলেন রেমো ও লিজেল। অপরদিকে লিজেল ও জেসনের বাবা গিয়েছিলেন ডায়ালিসিস করাতে। কিডনির অসুখে ভুগছেন তিনি। বাড়িতে ফিরে দেখেন এই মর্মান্তিক কাণ্ড।
মাত্র চার বছর আগে মাকে হারিয়েছেন লিজেল। ফের এই ঘটনায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন তিনি। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে রেমোর স্ত্রী জানান, ডায়ালিসিস নিয়ে বাড়ি ফিরে রীতিমতো পরিশ্রম করে দরজা খোলেন তাঁর বাবা। বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় জেসনকে।
বাবার সঙ্গেই থাকতেন জেসন। লিজেল জানান, ছেলেকে ওই অবস্থায় দেখেই ফোন করে মেয়ে জামাইকে গোটা ঘটনা জানান তাঁর বাবা। সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসেন লিজেল ও রেমো। কোরিওগ্রাফারের স্ত্রী জানান তিনি এখনো কিছুই জানেন না কিভাবে কী হল। তবে তাঁর মতে, সম্ভবত চার বছর আগে মায়ের মৃত্যুটা মেনে নিতে পারেননি তাঁর ভাই।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভাইয়ের ছবি শেয়ার করে ভেঙে পড়েছিলেন লিজেল। প্রশ্ন করেছিলেন, কীভাবে এটা করতে পারল ভাই! জানা যাচ্ছে, জেসনকে কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষনা করে।
ওশিওয়ারা থানার পুলিস ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। জেসন মৃত্যু ঘটনায় ‘অ্যাক্সিডেন্স ডেথ রিপোর্ট’ দাখিল করা হয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তে। তবে এখনো বিষয়টা নিয়ে মুখ খোলেননি কোরিওগ্রাফার রেমো ডিসুজা।