বাংলাহান্ট ডেস্ক : তীব্র গরমের দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। সামান্য বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মতন অপেক্ষা করছেন সকলেই। পাখা ছাড়া যেন এক মুহূর্ত টেকা দায় হয়ে উঠছে। গরমের হাত থেকে বাঁচতে এসির দোকানে ভিড় বাড়ছে গ্রাহকদের। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট শহর কলকাতায় (Kolkata)। ঘটনায় CESC কে কাঠগড়ায় তুলল আমজনতা।
প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎ পরিষেবা না পাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন আমজনতা। এই পরিস্থিতিতে সাধারনের সহযোগিতার আর্জি জানালো বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা CESC। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লাগতে খুব বেশি সময় লাগলো না। শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় রাজ্য সরকারকেই নিশানায় নিয়েছে বিজেপি।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার তরফে জানানো হয়, ‘অপ্রত্যাশিত তাপ প্রবাহের সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের শহর। আর সে কারণেই স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। বহু বছর ধরে শহরে বিদ্যুতের চাহিদা আমরা মেটাতে পেরেছি। শুক্রবার বিদ্যুতের সর্বকালীন রেকর্ড চাহিদা ২ হাজার ৬০৬ মেগাওয়াট আমরা সরবরাহ করতে পেরেছি’।
ওই বিবৃতিতেই দাবি করা হয়, ‘আমরা আমাদের সমস্ত গ্রাহকদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে, আপনারা বাড়িতে যে এসি ব্যবহার করছেন সেগুলি একটু বিবেচনা করে ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিকাঠামোর ওপর ওভার লোডিং হবে না। আপনারা আপনাদের অঞ্চলে পেয়ে যাবেন উন্নত বিদ্যুৎ পরিষেবা। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতার প্রার্থনা করছি’।
শহর কলকাতায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের আবারো একটা মিথ্যা ধরা পড়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গবাসীকে বিদ্যুৎ দিতে ওরা ব্যর্থ। জেলার কথা ছেড়ে দিলাম, শহর কলকাতাতেও লোডশেডিং চলছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে রাস্তায় বসিয়ে দিচ্ছেন মমতা’।