বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাম্প্রতিক সময়ের সব থেকে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে গেছে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার। উড়িষ্যার (Odisha) বালেশ্বর এর কাছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। করমণ্ডল এক্সপ্রেস এর পাশাপাশি একই জায়গায় সংঘর্ষ ঘটে একটি মালগাড়ির ও যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস এর। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনো অব্দি মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছড়িয়েছে।
হাজার ছাড়িয়েছে আহতের সংখ্যা। আশঙ্কা করা হচ্ছে যত সময় এগোবে ততই মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। গতকাল দুপুরে হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাই এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এরপর সেটি বালেশ্বর এর কাছে পৌঁছালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সামান্য কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রীতিমতো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
আপনাদের জানিয়ে রাখি এর আগেও বড় দুর্ঘটনা সম্মুখীন হয়েছে এই করমন্ডল এক্সপ্রেস। ১৪ বছর আগে এই ট্রেনটি পরে দুর্ঘটনার কবলে।কাকতালীয়ভাবে সেই দিনটিও ছিল শুক্রবার। আর সব থেকে বড় আশ্চর্যের কথা দুর্ঘটনাস্থল ছিল উড়িষ্যা। গতকালের এই দুর্ঘটনা ফের একবার উস্কে দিল চোদ্দ বছর আগের সেই স্মৃতি।
২০০৯ সালের ১৩ ই ফেব্রুয়ারি চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় উড়িষ্যার জয়পুর এর কাছে। দ্রুতগতির করমন্ডল এক্সপ্রেস উড়িষ্যার জয়পুর এর কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সেই দুর্ঘটনায় ১৬ টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। এগুলির মধ্যে ছিল ১১ টি স্লিপার ও বাকি দুটি জেনারেল বগি। গতকালের মত ২০০৯ সালের এই দুর্ঘটনাটিও ঘটেছিল সন্ধ্যা বেলায়।
সেদিনের দুর্ঘটনায় বগিগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইঞ্জিন থেকে। একটি বগি অপর একটি বগির উপর এসে পড়ে। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৬ জন। ১৬১ জন যাত্রী আহত হয়েছিলেন। ১৪ বছর পর শালিমার থেকে চেন্নাই এর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া করমন্ডল এক্সপ্রেস ফের একবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল শুক্রবার।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ছাপিয়ে গিয়েছে অতীতের বহু দুর্ঘটনাকে। প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ ও অন্যান্য আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।