বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ম্যাগির (Maggi) পর এবার গোটা নেসলে (Nestle) কোম্পানির খাদ্যবস্তু ‘কতোটা স্বাস্থ্যকর’, তা নিয়ে উঠল একাধিক প্রশ্ন। বাইরের অন্য কোন খাদ্য সংস্থা কিংবা সরকারি দাবি নয়, এবার খোদ বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য সংস্থা নেসলের অন্দরেই উঠেছে এই প্রশ্ন, যা নিয়ে তোলপাড় গোটা বিশ্ব।
ম্যাগি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হলেও, বর্তমানে খোদ নেসলে সংস্থাই জানাচ্ছে, তাঁদের ৬০ শতাংশেরও বেশি খাদ্য ও পানীয় তথাকথিত ‘স্বাস্থ্যকর’ খাদ্যের মধ্যে পড়ছে না। এমনকি সেইসমস্ত খাদ্য এবং পানীয়গুলোকে কখনই স্বাস্থ্যকর করে তোলার চেষ্টাও করা হয়নি- এমনটাই জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। নেসলের জল ও দুধকে ভালো রেটিং দেওয়া হলেও, বাকি খাবার গুলোর মান অনেকটাই কম রয়েছে।
কিছুবছর আগেই নেসলের ম্যাগি নিয়ে নানারকম প্রশ্ন উঠেছিল গোটা বিশ্ব জুড়ে। ম্যাগির পুষ্টিগত গুণ কতোটা, কি দিয়ে তৈরি- নানারকম প্রশ্নবাণে ঘায়েল হয়ে গিয়েছিল নেসলে সংস্থা। তারপর কিছুদিন ম্যাগির পরিষেবা বন্ধ থাকার পর, আবারও নতুন করে মডিফাই করে বাজারে ম্যাগি নিয়ে আসে নেসলে।
তবে এবার শুধুমাত্র ম্যাগি নয়, সংস্থার প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি খাদ্য এবং পানীয় নিয়ে নিজের অন্দরেই প্রশ্ন তুলেছেন কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির খাদ্য এবং পানীয়ের মধ্যে যা পুষ্টিগত ত্রুটি রয়েছে, তা এবার শুধরে নিয়ে পোর্টফোলিওতে বদলাতে আনতে চাইছে নেসলে। এমনকি কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন সংস্থার এক মুখপাত্র। জানিয়েছেন, চিনি ও সোডিয়ামের ব্যবহার এবার থেকে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সামগ্রীতে। বিগত ৭ বছরে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ চিনি ও সোডিয়ামের ব্যবহার কমিয়েছে সংস্থা।