বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ গোটা দেশে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন হচ্ছে। দেশের কাশ্মীর থেকে কন্যকুমারি বাংলা থেকে গুজরাট চারিদিকে উঠছে দেশের পতাকা। দেশের প্রতিটি রাজ্যেই আজ সারম্বরে পালিত হয়েছে ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। আজ কলকাতায় রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস।
আরেকদিকে রাজধানী দিল্লীতে আজ গণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে দেখা যায় বাংলার ট্যাবলো। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সবুজ সাথী প্রকল্প দিয়ে সাজানো ওই ট্যাবলো সকলের নজর কাড়ে। এছাড়াও দিল্লীর রাজপথে আজ কালাহান্ডির সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। নৃত্য প্রদর্শন করে সকলকের মন জয় করে কলকাতার ছাত্রছাত্রীরা।
এবার রেড রোডে গণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। রেড রোড জুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। সাধারণ মানুষ যাতে না ঢুকতে পারে, তাঁর জন্য করা হয়েছিল ব্যারিকেড। অপ্রীতিকর ঘটনা রোখার জন্য রেড রোড আর তাঁর আশেপাশের এলাকায় ছিল আঁটসাঁট নিরাপত্তা।
আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ট্যাবলো স্থান পেয়েছে। এছাড়াও কন্যাশ্রী এবং সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ট্যাবলো স্থান পেয়েছে কুচকাওয়াজে। দুয়ারে সরকারের ট্যাবলোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড়সড় ছবি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সুপ্রিম কোর্ট এর আগেই নির্দেশিকা জারি করে বলেছিল যে, সরকারি কোনও প্রকল্পে কোনও নেতা, নেত্রীর ছবি রাখা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশিকা অমান্য করে সরকারি বিজ্ঞাপনে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এছাড়াও প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো অনুষ্ঠানের ট্যাবলোয় একজন নেত্রীর ছবি কি করে থাকে সেটা নিয়েও বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে।
দুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নিজেই বলেছিলেন যে, সরকারি অনুষ্ঠানে একটা মাপকাঠি থাকা দরকার। সেখানে অযথা রাজনীতি টেনে আনা হচ্ছে কেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আর এবার সরকারি অনুষ্ঠানে ওনার বড়বড় ছবি থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।