বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রার পরিমাণ। মূলত, ক্রমবর্ধমান দূষণ এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের (Global Warming) কারণে তাপমাত্রার এহেন বৃদ্ধি চিন্তা বাড়াচ্ছে সমগ্র বিশ্বেরই। পাশাপাশি, এর ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশেও। সেই কারণে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে সার্বিক সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টিতেও নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে, এই আবহেই এমন একটি বিষয় সামনে এসেছে যেটি জানার পর রীতিমতো হুঁশ উড়ে যাবে সকলের।
এমনিতেই, গত কয়েক বছর ধরে রেকর্ড হারে উষ্ণতা বৃদ্ধি ঘটছে। যার ফলে বাড়ছে অসুস্থতার বিষয়টিও। তবে এবার গবেষকরা সামনে আনলেন ভয়ঙ্কর তথ্য। তাঁরা জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে মানুষের উষ্ণতা সহ্য করার যে ক্ষমতা রয়েছে, সেটিকেও অতিক্রম করে গরম পড়তে পারে।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শহরের নামও উপস্থাপিত করা হয়েছে। যেখানে এই প্রভাব সবথেকে বেশি পরিলক্ষিত হতে পারে। এমতাবস্থায়, সেই তালিকায় রয়েছে শহর কলকাতার নামও! ইতিমধ্যেই পেন স্টেট কলেজ অব হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ও পার্ডু ইউনিভার্সিটি কলেজ অব সায়েন্স এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র সামনে এনেছে।
আরও পড়ুন: বড় সিদ্ধান্ত! হঠাৎ করেই ১৪ টি স্কুল বন্ধ করে দিল জেলা প্রশাসন, অন্ধকারে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ
যেখানে জানানো হয়েছে ঘুম উড়িয়ে দেওয়া একের পর এক তথ্য। ওই গবেষণাপত্রে উপস্থাপিত করা হয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যেই সমগ্ৰ পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। এদিকে, গবেষকদের মত অনুযায়ী, এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে গেলেই তা মানুষের সহ্যের সীমা পার করে ফেলতে পারে। যার ফলে বেড়ে যাবে হিট স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো ঝুঁকি।
কোথায় কোথায় পড়বে প্রভাব: এদিকে, আরও জানা গিয়েছে যে, এহেন ভয়ানক প্রভাব পাকিস্তান ও ভারতের একটা বড় অংশে পড়বে। পাশাপাশি, রেহাই পাবে না পড়শি দেশ চিনও। মূলত, সাংহাই, মুলতান, নানজিয়াং, উহান সহ দিল্লি এবং কলকাতায় গরমের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে পারে।