বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জীবনে তাড়াহুড়ো যত বাড়ছে, তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মানসিক অবসাদ এবং চাপ। আর এই মানসিক চাপের কারণেই দেখা দিচ্ছে নানা রকম শারীরিক সমস্যা। এরই মধ্যে একটি হলো চুল পড়ার সমস্যা, অল্প বয়সে টাক পড়ার সমস্যায় জেরবার লোকের সংখ্যা যে নেহাত কম নয়, তা বিভিন্ন শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনের প্রচার দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু সত্যিই কি এর কোন স্থায়ী সমাধান তৈরি হয়েছে এখনও? বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে নানান দাবি করা হলেও এখনও এই সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান বাজারে আসেনি।
তবে এবার এক বড় সমাধান নিয়ে এলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু গবেষক। সম্প্রতি ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিতও হয়েছে তাদের এই গবেষণা পত্রটি। জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরেই এ বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন তারা। গবেষকরা জানিয়েছেন, মানসিক চাপের কারণেই চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে থাকে। এর পিছনে রয়েছে একটি হরমোনের অভাব। চুল পড়া বাড়তে থাকলে স্ট্রেস আরও বাড়ে তখন এই হরমোন আরও অবদমিত হয়, যার সমস্যা আরও বাড়তে থাকে এবং অল্প বয়সেই দেয় টাক।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই চুল পড়ার সমস্যা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা সম্ভব এবং শুধু তাই নয় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে তাদের আবিষ্কৃত একটি প্রোটিন মলম। GAS6 নামের এক প্রোটিন থেকে তৈরি এই মলমটি টাক পড়ার সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারবে বলেই জানিয়েছেন তারা। কবে বাজারে আসতে চলেছে এই মলম? হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন তারা এই বিষয়ে এখনও কোন তাড়াহুড়ো করতে চান না। এই সমস্যার সমাধান আবিষ্কার হয়েছে ঠিকই কিন্তু পরীক্ষা পর্ব এখনও সম্পন্ন হয়নি।
আপাতত এই মলমটি দিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে ইঁদুরের শরীরে। এক্ষেত্রে যদি পরীক্ষা সফল হয়, তাহলে আগামী দিনে তা বাজারজাত করার চিন্তাভাবনা শুরু করবেন তারা। তবে চুল পড়ার সমস্যায় ভোগা মানুষজন এবার কিছুটা আশায় বুক বাঁধতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ গবেষকদের আশা দ্রুতই এই আশ্চর্য মলমটি বাজারজাত করতে পারবেন তারা।