বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত কয়েক বছর ধরেই বন্যার সংখ্যা বাড়ছে বিভিন্ন জায়গায়। গত দু’বছরে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পরপর দুটি বাণের দাপট দেখেছে বাংলাও। প্রথমবার আমফান এবং এবছর ইয়াসে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতের বিভিন্ন এলাকা। এবার নাসার গবেষণায় প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। চাঁদের কক্ষপথে কিছু পরিবর্তনের জেরে ভয়ঙ্কর বন্যার সংখ্যা বাড়তে চলেছে আগামী কয়েক বছরে। বিশেষত ২০৩০ সালে এক ভয়ঙ্কর বন্যার পূর্বাভাস উঠে এসেছে গবেষণায়। জীবননাশী এই বন্যায় রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্ত হবে গোটা বিশ্ব।
নাসার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে আমেরিকা। জোয়ার ভাটার উপরে চাঁদের টানের যে প্রভাব থাকে তা আর আলাদা করে বলে দেবার দরকার নেই। তাই চাঁদের কক্ষপথে একটুও পরিবর্তন হলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গোটা বিশ্ব। চাঁদের কক্ষপথে এ ধরনের পরিবর্তন আগেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরে তখনও এতটা বৃদ্ধি পায়নি পৃথিবীর জলস্তর। যার জেরে এই ধরনের পরিবর্তন তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি।
এই গবেষণার প্রধান লেখক তথা হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ফিল থম্পসন জানাচ্ছেন, চাঁদের কক্ষপথে এ ধরনের পরিবর্তন সম্পন্ন হতে সাধারণত সময় লাগে ১৮ বছর ৬ মাস। এই নিয়ম অনুযায়ী ২০৩০ সালে আবার কক্ষপথে বেশ কিছুটা পরিবর্তন ঘটাবে চাঁদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, চাঁদ যখন তার উপবৃত্তাকার কক্ষপথ তৈরি করে, তখন স্বাভাবিকভাবেই তার গতিবেগের পরিবর্তন হয়, যার জেরে পরিবর্তিত হয় ‘আলোর দিক’ সম্পর্কিত কোন। আর তার জেরেই এ ধরনের ঘটনা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের পরিবর্তনের জেরে এক মাসে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বার বন্যা আসতে পারে। যার জেরে রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্ত হবে জনজীবন। বিশেষত আমেরিকায় তটভূমি এলাকা বেশি হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেকটাই বেশি হবে। নাসার মতে এখন থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামী দিনে ভীষণ সমস্যায় পড়তে চলেছে বিশ্বের নানা দেশ।