বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে টাকা বিনিয়োগের সব থেকে সুনিশ্চিত মাধ্যম হল ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট বা পোস্ট অফিস। সরকারি এই মাধ্যমগুলিতে টাকা রাখা অনেকেই নিরাপদ বলে মনে করেন। তবে এগুলি ছাড়াও সরকারের আরো বেশকিছু স্কিম রয়েছে যেখানে আপনারা টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন।
যত সময় যাচ্ছে ততই বেড়ে যাচ্ছে সোনার দাম। এই অবস্থায় গোল্ড বন্ড স্কিমে বিনিয়োগ করলে পেতে পারেন মোটা রিটার্ন। সোনায় বিনিয়োগ করতে চাইলে ভারত সরকারের গোল্ড বন্ড স্কিম (Gold Bond Scheme) সেরা বিকল্প হতে পারে। আরবিআই (RBI) অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই স্কিমটি নিয়ে আসা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা চাইলে খুব সহজেই বিনিয়োগ করতে পারেন রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank of India) এই স্কিমে।
আরোও পড়ুন : চা ওয়ালা থেকে রেলের গেট ম্যান! ট্রেন এলেই কেটলি ফেলে দৌড়, অবাক করবে নদীয়ার ননীগোপালের গল্প
প্রায় ৯ বছর আগে রিজার্ভ ব্যাংকের পক্ষ থেকে চালু করা হয় এই সোভারেন গোল্ড বন্ড স্কিম। তবে এই স্কিমে বিনিয়োগ করার জন্য রয়েছে কিছু নিয়মকানুন। বিনিয়োগকারীরা চাইলে খুব সহজেই সরকারের এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। একজন সাধারণ পরিবার থেকে কোনো ব্যক্তি সহজেই এক কেজি থেকে চার কেজি গোল্ড বন্ড কিনতে পারেন।
আরোও পড়ুন : ক্লাস ফাঁকি দিয়ে স্কুল ছুটের দিন শেষ! কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার, কবে থেকে শুরু নতুন নিয়ম?
তবে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে তিনি ১০ কেজি পর্যন্ত সোনা কিনতে পারবেন।সরকারের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীরা প্রতিবছর পেয়ে যাবেন ২.৫% সুদ। ৬ মাস অন্তর এই সুদ দেওয়া হয়ে থাকে। এই স্কিমে সুদের টাকা বৃদ্ধি পায় চক্রবৃদ্ধি হারে।
মেয়াদের আগে গোল্ড স্কিম ভেঙে ফেললে বিনিয়োগকারীকে সুদ প্রদান করা হবে না। এই স্কিমে মিলতে পারে ১৫% পর্যন্ত রিটার্ন। অর্থাৎ পাঁচ বছরেই সরকার আপনার টাকা ডবল করে দিতে পারে। তবে মনে রাখা দরকার রিটার্নের পরিমান কিন্তু স্থায়ী নয়। সাধারণ হিসাব অনুযায়ী, ১৫ শতাংশ হারে রিটার্ন পেলে পাঁচ বছর পর ব্যক্তির জমাকৃত অর্থ ডবল হবে।