বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেষ কেন্দ্রীয় বাজেটের পর গত পাঁচ বছরে প্রথমবার রেপো রেট হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেয় আরবিআই (Reserve Bank of India)। আরবিআই (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা ২৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট হ্রাসের ঘোষণা করেন। ৬.৫০ শতাংশ থেকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৬.২৫ শতাংশে।
রেপো রেট নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত আরবিআই’র (Reserve Bank of India)
এবার ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ মনে করছে, গত মাসে ভারতের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নিচে নামায় চওড়া হল আরও ২৫ বেসিস সুদ কমানোর রাস্তা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রিজার্ভ ব্যাংক ২৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট (Repo Rate) কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ দাবি করেছে, আর্থিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে তিন দফায় মোট ৭৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমাতে পারে আরবিআই।
আরও পড়ুন : শিঙারার সাথে এক্সট্রা চাটনি না দিতেই রেগে লাল! দোকানকর্মীকে ঠাটিয়ে চড় TMC কাউন্সিলরের, ধরে নিয়ে গেল পুলিশ
রেপো রেট হ্রাস পেলে বাড়ি, গাড়ি, শিক্ষা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে যারা ঋণ গ্রহণ করেছেন তারা প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবেন। কমবে ঋণের উপর সুদের হার। করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে ভারতীয় অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে ২০২২ সালের মে মাস থেকে সুদ বৃদ্ধি করতে শুরু করে আরবিআই (Reserve Bank of India)। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে রেপো রেট পৌঁছায় ৬.৫ শতাংশে।
আরও পড়ুন : খুন হতে পারেন অর্জুন সিং? কাকে ভয়? ভয়ঙ্কর কথা বলে দিলেন BJP নেতা
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমায় বর্তমানে রেপো রেট দাঁড়িয়েছে ৬.২৫ শতাংশে। ইন্ডিয়া রেটিংসের দাবি, জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে ভারতের খুচরো বাজারে ৪ শতাংশের নিচেই থাকবে মূল্যবৃদ্ধির গড় হার। সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘‘২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির গড় হার কমে ৪.৭% হতে পারে। পরের অর্থবর্ষে সুদ কমতে পারে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট।’’
গত সাধারণ বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন দেশের মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিয়ে ব্যাপক কর ছাড়ের ঘোষণা করেন। বাজেট পেশের এক সপ্তাহের মধ্যেই রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। রেপো রেট হ্রাস পাওয়ার ফলে সুদ কমবে পার্সোনাল লোন, হোম লোন, কার লোনের ক্ষেত্রে। তবে রেপো রেট হ্রাস পেলে সুদ কমে ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট ও রেকারিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রেও। রেপো রেট কমলে ঋণগ্রহীতারা একদিকে যেমন স্বস্তি পাবেন, তেমনই উল্টোদিকে আয় কমবে বিনিয়োগকারীদের।