বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ক্রমশ কমছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই ভাণ্ডার গত ৩ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে ৫.৬৯ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়ে আপাতত ৬৩৫.৫৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India) এই তথ্য জানিয়েছে। গত শুক্রবার RBI বলেছে যে তার আগের সপ্তাহে এটি ৪.১১২ বিলিয়ন ডলার কমে ৬৪০.২৭৯ বিলিয়ন দলের দাঁড়িয়েছিল।
কি জানিয়েছে RBI (Reserve Bank Of India):
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই পতন ঘটছে: জানিয়ে রাখি যে, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে ক্রমশ পতন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর পেছনের কারণ হল ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দুর্বলতা নিয়ন্ত্রণে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রচেষ্টা। এর জন্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে হস্তক্ষেপ করে এবং এর পুনর্মূল্যায়নও করে।
জানিয়ে রাখি যে, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারকে ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভও বলা হয়ে থাকে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার সর্বকালের সর্বোচ্চ ৭০৪.৮৮৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। গত শুক্রবার প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারের একটি বড় অংশ হিসেবে বিবেচিত বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ গত ৩ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে ৬.৪৪ বিলিয়ন ডলার কমে ৫৪৫.৪৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। জানিয়ে রাখি, বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদের মধ্যে অ-মার্কিন মুদ্রা যেমন ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মতো বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের মধ্যে ওঠানামার প্রভাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখাচ্ছেন রোনাল্ডো! এবার বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে গড়লেন দুর্ধর্ষ নজির
দেশের গোল্ড রিজার্ভ বেড়েছে: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India) আরও জানিয়েছে যে ওই একই সপ্তাহে দেশের সোনার ভাণ্ডার ৮২৪ মিলিয়ন ডলার বেড়ে ৬৭.০৯২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। RBI আরও জানিয়েছে যে, স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস তথা SDR ৫৮ মিলিয়ন ডলার কমে ১৭.৮১৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ভারতের সঞ্চিত ভাণ্ডার গত ৩ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে ৪.১৯৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: রিঙ্কুর সইয়ের জন্য আটকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট মাঠের সংস্কার! ব্যাপারটা কী?
কেন বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারকে দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের মিটার বলা হয। যেটি সবসময় পূর্ণ রাখতে হয়। এটি কমে গেলে দেশকে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যার মধ্যে রয়েছে পণ্য ও পরিষেবার আমদানির বিল পরিশোধে অসুবিধা থেকে শুরু করে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বিষয়গুলি। এদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে পতন ঘটলে তার প্রভাব দেশের মুদ্রাতেও পড়ে। যদিও বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের মধ্যে অনেক দেশের মুদ্রা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, কিন্তু ডলার এর মধ্যে সবচেয়ে বড় জায়গা জুড়ে থাকে। কারণ, বিশ্বের বেশিরভাগ বাণিজ্য শুধুমাত্র মার্কিন ডলারে সম্পন্ন হয়।