সব আশায় জল ঢালল RBI! EMI-র ক্ষেত্রে মিলবেনা কোনও রেহাই, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India) আবারও রেপো রেট স্থিতিশীল রেখেছে। মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তথ্য জানাতে গিয়ে RBI-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ফের রেপো রেট স্থিতিশীল রাখার ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, রেপো রেটে আর কোনও পরিবর্তন না করে ৬.৫ শতাংশে স্থিতিশীল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিন দিন ধরে আলোচনার পর, MPC সুদের হার না কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে, এই সিদ্ধান্তের ফলে, সস্তার ঋণ পাওয়া এবং EMI হ্রাসের আশা ফের একবার ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই নিয়ে টানা ১১ বার RBI রেপো রেটে কোনও পরিবর্তন করেনি।

কি জানিয়েছেন RBI (Reserve Bank Of India)-এর গভর্নর:

জানিয়ে রাখি যে, গভর্নর শক্তিকান্ত দাস MPC বৈঠকের গুরুত্ব বর্ণনা করে সাংবাদিক সম্মেলন শুরু করেন। যেখানে তিনি জানান যে, MPC এবং RBI (Reserve Bank Of India)-এর নীতিগুলি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবন থেকে শুরু করে দেশের অর্থনীতিতেও এই প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তিনি বলেন, “মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের দায়িত্ব। মনিটারি পলিসি কমিটির ৬ জনের মধ্যে ৪ জন রেপো রেট পরিবর্তনের পক্ষে ছিলেন না। আমাদের দায়িত্ব GDP-কে শক্তিশালী করা।”

Reserve Bank Of India took a big decision on repo rate.

তিনি আরও বলেন, “RBI (Reserve Bank Of India) ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও অর্থাৎ CRR ০.৫০ শতাংশ কমিয়েছে। এই হ্রাসের সাথে, CRR ৪.৫০ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। RBI-এর সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার লিকুইডিটি বৃদ্ধি পাবে। এদিকে, RBI SDF রেট ৬.২৫ শতাংশে এবং MSF রেট ৬.৭৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে। RBI অনুমান করেছে যে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি কমবে।” RBI-এর গভর্নর বলেছেন যে, মুদ্রাস্ফীতি GDP বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

আরও পড়ুন: কিছুতেই ফিরছেনা ফর্ম! কোটি কোটি টাকার এই প্লেয়ারই এবার চিন্তা বাড়াচ্ছে KKR-এর

রেপো রেট কি: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ব্যাঙ্কগুলিরও কখনও কখনও তাদের কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হয়। যার জন্য তারা RBI (Reserve Bank Of India) থেকে স্বল্পমেয়াদী ঋণ নেয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ওভারনাইট ঋণের ওপর সুদ নেয়। যাকে বলা হয় রেপো রেট। একইভাবে, ব্যাঙ্কগুলির কাছে যখন প্রচুর পরিমাণে টাকা অবশিষ্ট থাকে, তখন তারা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা করে। যার ওপর তারা RBI থেকে সুদ পায়। একে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট।

আরও পড়ুন: এবার পাল্টে যাবে দেশের ভোল! তেল এবং গ্যাসে আসবে বিপুল লগ্নি, নেওয়া হল বড় পদক্ষেপ

রেপো রেট হ্রাস কিভাবে হোম লোনকে প্রভাবিত করে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে রেপো রেট কমার অর্থ হল ব্যাঙ্কগুলি RBI (Reserve Bank Of India) থেকে কম সুদের হারে সস্তায় ঋণ পাবে। ব্যাঙ্ক যখন সুলভ ঋণ পাবে, তখন তারা তার গ্রাহকদের সুলভ হারে ঋণ বিতরণ করবে। অর্থাৎ, যখন RBI রেপো রেট কমায় তখন ব্যাঙ্কগুলি হোম লোন থেকে শুরু করে কার লোন ইত্যাদির ক্ষেত্রে সুদের হার কমাতে পারে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হন ঋণগ্রহীতারা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর