বাংলাহান্ট ডেস্ক : রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) কোপে পড়ল দু দুটি ব্যাঙ্ক। নিয়ম লঙ্ঘনের জেরে মোট ৬৮.১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হল দুটি ব্যাঙ্ককে। নৈনিতাল ব্যাঙ্ক এবং উজ্জীবন স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক নামে দুটি ব্যাঙ্ককে জরিমানা করেছে আরবিআই (Reserve Bank of India)। একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্টারেস্ট রেট অন অ্যাডভান্স এবং কাস্টমার সার্ভিস ইন ব্যাঙ্কস সংক্রান্ত কিছু নিয়মাবলী না মানায় নৈনিতাল ব্যাঙ্ক লিমিটেডকে ৬১.৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দুটি ব্যাঙ্ককে জরিমানা আরবিআই (Reserve Bank of India) এর
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, লোন অ্যান্ড অ্যাডভান্স – স্ট্যাটিউটরি অ্যান্ড আদার রেস্ট্রিকশনস সংক্রান্ত কিছু নির্দেশ অমান্য করায় ৬.৭০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে উজ্জীবন স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ককে।শুধু এই দুটি ব্যাঙ্ক নয়। কেওয়াইসি নির্দেশিকা এবং ‘ক্রেডিট তথ্য সংস্থাগুলিকে ক্রেডিট তথ্য সরবরাহের জন্য ডেটা ফর্ম্যাট’ এর সংক্রান্ত কিছু নির্দেশিকা অমান্য করায় শ্রীরাম ফিনান্স নামে একটি নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও ৫.৮০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে আরবিআই (Reserve Bank of India) এর তরফে।
আগেও চেপেছে বিধিনিষেধ: এর আগে মুম্বই এর নিউ ইন্ডিয়া কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের উপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। এর জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। ব্যাঙ্কের বাইরে কার্যত লাইন পড়ে গিয়েছিল মানুষের। তাদের অভিযোগ ছিল, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে তাদের কোনো তথ্যই জানানো হয়নি। তারপর জানা যায়, ১৩ ফেব্রুয়ারি আরবিআই (Reserve Bank of India) এর তরফে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকরা তা জানতে পারে।
আরো পড়ুন : চিনকে “টাইট” দিতে এবার বড় অ্যাকশন! ভারতীয় সেনার শক্তি বাড়াবে ট্রাম্পের মাস্টারস্ট্রোক
কি বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছিল: এই বিধিনিষেধের জেরে মুম্বইয়ের নিউ ইন্ডিয়া কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড আরবিআই (Reserve Bank of India) এর থেকে অনুমতি না নিয়ে কোনো ঋণ মঞ্জুর করতে পারবে না। না কোনো বিনিয়োগ করতে পারবে, না কোনো টাকা দিতে পারবে। পাশাপাশি টাকা দেওয়ার বিষয়ে কোনো চুক্তিও করতে পারবে না।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশ “বিতর্ক” এবার পরীক্ষার খাতায়! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নকে ঘিরে শুরু তোলপাড়
ব্যাঙ্কের বাইরে একটি ব্যানারে টাঙিয়ে দেওয়া হয়, প্রত্যেক গ্রাহকের পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থ ডিপোজিট ইনসিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনের কাছে জমা রাখা হয়েছে। ৯০ দিন বা তার আশেপাশে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। পাশাপাশি গ্রাহকদের লকারে রাখা সব বস্তুও সুরক্ষিত আছে বলে জানানো হয় ব্যাঙ্কের তরফে।