বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গুরু পূর্ণিমা (Guru Purnima), গুরুকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে গুরু পূর্ণিমা পালন করা হয়। গুরুই একমাত্র যিনি ঈশ্বর প্রাপ্তির পথ দেখাতে পারেন। গুরুকে ঈশ্বরের সমতুল্য বলেও মনে করা হয়। ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে ঋষি-মুনিদের ঈশ্বরের সাথে তুলনা করা হয়।
আজকের দিনটিতে আবার মহর্ষি বেদব্যাসের জন্ম জয়ন্তী হিসাবেও পালন করা হয়। বেদ বিভাজনের শ্রেয়, তাই তাঁর নাম বেদব্যাস। সেই কারণে গুরু পূর্ণিমাকে আবার ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে।
গুরু পূর্ণিমার তিথি শুরু হচ্ছে ৪ জুলাই শনিবার রাত ১১ টা বেজে ৩৩ মিনিটে। তিথি থাকছে ৫ জুলাই রবিবার ১০ টা বেজে ১৩ মিনিট পর্যন্ত। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যেই থাকছে পূর্ণিমা।
এদিন সকালে উঠে সবার প্রথমে পিতামাতাকে প্রণাম করে তাঁদের আশীর্বাদ নিতে হয়। পিতা-মাতাই হল আসল গুরু এবং তাঁদের আশীর্বাদ ঈশ্বরের আশীর্বাদের সমতুল্য। এরপর গুরু, শিক্ষক তাঁদেরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে উপহার প্রদান করার রীতি রয়েছে। দুঃস্থ ব্যক্তিদের দান ধ্যান, অন্ন-বস্ত্র দান করতে পারেন।
রামচরিতমানস, শ্রীমদ্ভাগবদ গীতা বা কোনও ধর্মীয় গ্রন্থ, লাল কাপড়ে মুড়িয়ে পূজার স্থানে রেখে ফুল উপযোগে পূজা করলে আশির্বাদ লাভ হয়। এদিন গুরুদের আশির্বাদ নেওয়া খুবই প্রয়োজন। এই আশির্বাদ জীবনের ভুল গুলোকে শুধরে দিয়ে, জীবনের চলার পথকে আরও মসৃণ করে তোলে।