বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ব্যঙ্গালুরুতে ইসরোর অফিসে চন্দ্রযান-২ এর প্রতিটি ঘটনার সাক্ষী হন। সবথেকে বড় কথা হল, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই কঠিন সময়েও বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়ান, যখন বিজ্ঞানীদের দেশবাসীদের ভরসা খুব দরকার ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী শুধু তাঁদের মনোবলই বাড়ান নি, উনি বিজ্ঞানীদের সাথে এবং পাশে দাঁড়ান। বিদেশ যাত্রা থেকে ফেরা মাত্রই বিশ্রাম না নিয়েই একের পর এক সরকারি কাজ করার পর ব্যাঙ্গালুরুতে ইসরো এর স্পেস স্টেশন যান তিনি। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়ায় ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরাম (EEF) বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর দিল্লী পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী মোদী শুক্রবার সকালে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেন। সারাদিন কাজ করার পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ধে নাগাদ ব্যাঙ্গালুরু পৌঁছান।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডিং এর প্রক্রিয়ার সময় ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়ান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চন্দ্রযান-২ এর জন্য গোটা রাত চোখের পাতা এক করেন নি। ব্যাঙ্গালুরুতে তিনি বিজ্ঞানীদের সাথে কথা বলে চন্দ্রযান-২ এর প্রতিটি মুহূর্তের খবর নেন। ল্যান্ডিংয়ে সমস্যা আসার পর ইসরোর প্রধান অফিসে বিজ্ঞানীদের মুখে টেনশনের ছবি স্পষ্ট দেখা যায়।
ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ সিবন এর তরফ থেকে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজ্ঞানীদের মধ্যে গিয়ে তাঁদের মনোবল বৃদ্ধি করেন। উনি বলেন, ‘জীবনে কঠিন সময় এবং ভালো সময় আসতেই থাকে। যেটা আপনারা করেছেন, সেটা ছোট না। আগামী দিনেও আমরা চেষ্টা জারি রাখব। দেশ আমাদের বিজ্ঞানীদের নিয়ে গর্ব করে। আমি বিজ্ঞানীদের পাশেই আছি। আগামী দিনেও আমাদের যাত্রা জারি থাকবে। আমি আপনাদের পাশে আছি। মনে বল নিয়ে চলুন। আপনাদের জন্য দেশের মানুষ আবারও খুশি হবে। আপনারা যেটা করে দেখিয়েছেন, সেটা অনেক বড় উপলব্ধি।”
গোটা রাত টেনশনের সাক্ষী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর তিনি ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। নির্ধারিত অনুষ্ঠান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুম্বাইতে মেট্রোর উদ্বোধন করেন। মুম্বাই কার্যক্রমের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঔরঙ্গাবাদে যান। সেখানে তিনি একের পর এক কার্যক্রমে অংশ নেবেন, আর এরপর তিনি আবার দিল্লী ফেরত যাবেন।