একবার ছুঁলেই বাজিমাত! রথের রশি টানলে কী হয় জানেন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রথের রশি (Chariot Rope) ছোঁয়ার জন্য সারা বছর ধরে অপেক্ষা করেন বহু মানুষ। রথের রশি একবার স্পর্শ করতে পারলেই ভক্তদের চোখে মুখে যেন আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। পুরীর রথ হোক কিংবা মাহেশের রথ। পাড়ার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের ছোট্ট রথের রশি হোক কিংবা মায়াপুর ইসকনের রথের রশি।

এই রথের দড়ি বা রশি ছোঁয়ার জন্য উদগ্রী হয়ে থাকেন ভক্তরা। কিন্তু রথের রশি (Chariot Rope) ছোঁয়ার ফলে কি হয় জানেন? কেন এত অগণিত মানুষ রথের রশি ছোঁয়ার জন্য এমন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন? কথিত আছে, রথে চড়েই ভক্তদের সামনে হাজির হন প্রভু জগন্নাথ দেব। তাই রথের রশি একবার ছুঁয়ে ভগবান জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদ গ্রহণ করতে চান সকলেই।

   

আরোও পড়ুন : রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে বিরোধীকেও ‘পাশে আছি’র বার্তা সৌমিত্র খাঁর! অসুস্থ মুকুলের জন্য যা করলেন…

মহাপ্রভু জগন্নাথের রথ টানা বা রথের রশি (Chariot Rope) একবার ছুঁতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। রথের রশি বা দড়িকে সর্পের প্রতীক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ওড়িয়া ভাষায় যাকে বলে ‘দৌড়ি’। জগন্নাথ দেবের (Jagannath) রথের প্রত্যেকটা অংশই হল পবিত্র। তাইতো রথ কিংবা রথের রশি একবার ছোঁয়ার জন্য আকুল হয়ে থাকেন ভক্তরা।

আরোও পড়ুন : মির্জাপুর সিজন ৩-তে কার ঝুলিতে কত পারিশ্রমিক উঠল? চমকে দেবে টাকার অঙ্ক

ভক্তরা বিশ্বাস করেন, জগন্নাথদেবের রথের রশি ছুঁলেই পাপক্ষয় হয়। ওই রথে নাকি বিরাজ করেন ৩৩ কোটি দেবতা। জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামের অবস্থানও ওই রথেই। তাই রথের রশি একবার স্পর্শ করলে ৩৩ কোটি দেবতাকে স্পর্শ করার ভাগ্য বলে মনে করা হয়। পুরীর জগন্নাথদেবের সেবায়েত গোপীনাথ মহাপাত্র। রথের রশি ছুঁলে কি হয় তার উত্তর দিয়েছেন তিনি।

From Rathyatra to Purnayatra, there were details in the auspicious time

তাঁর কথায়, রথের রশি স্পর্শ করলে পাপক্ষয় হয়। এর থেকে বড় পূণ্যের আর কিছু নেই। তাই রথের রশি বা রথ স্পর্শ করা উচিত সকলেরই। এতে ভক্তরা পূণ্যলাভ করেন। দেহ মন পবিত্র হয়। প্রভু জগন্নাথদেব আশীর্বাদ বর্ষণ করেন তাঁর ভক্তদের ওপর। জগন্নাথ দেবের রথের দড়ি স্পর্শ করলে পূর্বজন্মের কষ্ট ভোগ করতে হয় না। তাইতো রথ দর্শন করে একবার দড়ি ছোঁয়ার জন্য অপেক্ষা করেন ভক্তরা।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর