বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা যে মোটেই ভালো নয় তা বারংবার বলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ কমানোর নির্দেশও তিনি একাধিকবার দিয়েছেন প্রশাসনিক বৈঠকগুলিতে। এমতাবস্থায়, এবার রাজ্য বিরাট লাভের সম্মুখীন হয়েছে। সৌজন্যে অবশ্য সেই মদ বিক্রি। সুরাপানের মাধ্যমেই কার্যত রাজ্যে বিরাট লক্ষ্মীলাভের সুযোগ করে দিলেন সুরাপ্রেমীরাই!
যদিও, যে কোনো উৎসবের ক্ষেত্রেই রাজ্যে রেকর্ড মদ বিক্রির পরিসংখ্যান আমরা আগেও পেয়েছি। পুজোর চারদিন হোক কিংবা হোলির দিন প্রতিটি ক্ষেত্রেই মদের বিপুল বিক্রি চোখে পড়েছে। দুর্গাপুজোর সময়েই প্রায় ৭২০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল রাজ্যে। তবে, এবার সামগ্রিকভাবে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে কার্যত অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলেই।
জানা গিয়েছে যে, বিগত অর্থবর্ষে রেকর্ড আবগারি শুল্ক আদায় হয়েছে রাজ্যে। শুধুমাত্র মদ বিক্রির মাধ্যমেই রাজ্যের আয় হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, বিগত বছরগুলির সঙ্গে তুলনা করলে এই পরিমান আবগারি শুল্ক আদায় নিঃসন্দেহে একটি নয়া নজির তৈরি করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চোরাচালান বন্ধ করতে নতুন আবগারি নীতি নিয়ে এসেছিল রাজ্য। পাশাপাশি, কমানো হয়েছিল বিলিতি মদের দামও। এছাড়াও, সুষ্ঠুভাবে মদ বিক্রি করার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। মূলত গোটা পরিষেবাটিকেই ঢেলে সাজানোর জেরে আয় বেড়েছে রাজ্যে।
এছাড়াও, গত নভেম্বরে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো হয়েছিল মদের দাম। এমনকি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাজ্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা মদের দাম দিল্লির থেকেও কম। যে কারণে এই ধরনের মদ বিক্রি বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ। অর্থাৎ, দিন দিন চাহিদা বাড়ছে মদের।
বিগত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই খাতে আদায় হয়েছিল ১১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। যদিও, পরের বছরে তা একলাফে বেড়ে দাঁড়ায় ১২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকায়। আর গত অর্থবর্ষে মহামারীর আবহ থাকলেও আয় বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। মূলত, বিপুল হারে মদ বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পরিমাণ রোজগার সম্ভব হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।