বাংলা হান্ট ডেস্ক : সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বারবার রক্তাক্ত হচ্ছে ইউরোপ (Europe)। আগে ফ্রান্স (France) এখন সুইজারল্যান্ডেও (Switzerland) শুরু হয়েছে দাঙ্গা। সুইস শহর লুসানে এর তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। একাধিক দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারি সম্পত্তিও। পুলিস সূত্রে খবর, ফ্রান্সে দাঙ্গার আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সুইজারল্যান্ডে। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককেই। যাদের অধিকাংশই কিশোর। বেলজিয়ামের (Belgium) ব্রাসেলসেও দাঙ্গা হয়েছে।
ট্রাফিক নিয়ম না মানায় পুলিসের গুলিতে এক নাবালকের মৃত্যুর হয় ফ্রান্সে। এরপরই শুরু হয় তীব্র দাঙ্গা। প্রথমে লুসানে গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপর তা হিংস্র আকার নেয়।
মরক্কো-আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত নাহেলের মৃত্যুতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও বলেছেন যে এটি ক্ষমার যোগ্য নয়। জানা যাচ্ছে, সুইজারল্যান্ডের দাঙ্গায় ‘মোলোটভ ককটেলও’ ব্যবহার করা হয়েছে।
ইট-পাথর ছোঁড়া হয় সাধারণ মানুষের উপর। ভাঙচুর চালানো দোকানপাটে ও জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর। পুলিস সূত্রে খবর, শতাধিক যুবক জড়ো হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরদিকে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে পুলিস ৬৪ জন দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করেছে। দাঙ্গাকারীরা ‘নাহেলের জন্য ন্যায়বিচার’ স্লোগানও তোলে। এরই মধ্যে বাতিল করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জার্মানি সফর।
যে আধিকারিক নাহেলকে গুলি করেছিল সে এখনও পুলিস রিমান্ডে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফ্রান্সে, শুক্রবার ১৩০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়, যেখানে পরের দিন এই সংখ্যা ছিল ৭১৯। পরদিন ৪৯ জন দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সের সংসদ সদস্য ও মেয়রদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ডে পেট্রোল বোমা দিয়ে হামলা চালায় জনতা। লুসানে গ্রেফতার হওয়া দাঙ্গাকারীদের মধ্যে অসংখ্য মহিলাও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।