বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় এখনও অবধি গ্রেফতারির সংখ্যা এক। সঞ্জয়ের পর আর কাউকে গ্রেফতার করেননি তদন্তকারীরা। এবার ধৃত সঞ্জয়ই পলিগ্রাফ টেস্টে দাবি করল, সে ধর্ষণ খুন করেনি (RG Kar Case)। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
পলিগ্রাফ টেস্টে বিস্ফোরক দাবি সঞ্জয়ের (RG Kar Case)!
আরজি কর কাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয়কে (Sanjay Roy) গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। এরপর তদন্তভার নেওয়ার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। নারকীয় এই ঘটনায় সঞ্জয় ছাড়াও আরও কেউ যুক্ত আছে বলে একাধিকবার দাবি উঠেছে। এই আবহে পলিগ্রাফ টেস্টে সঞ্জয় যা বলল, তাতে যেন এই ঘটনায় এক নতুন মাত্রা যোগ হল।
- কী বলেছেন সঞ্জয়?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদ থেকে জানা যাচ্ছে, পলিগ্রাফ টেস্টে (Polygraph Test) সঞ্জয় বলেছেন, ’আমি খুন করিনি। মৃতদেহ দেখার পর সেমিনার হল থেকে পালিয়ে যাই’। পলিগ্রাফ পরীক্ষায় অভিযুক্তকে মোট ১০টি প্রশ্ন করা হয়েছিল বলে খবর। নাম, ঠিকানা, পেশার মতো সাধারণ প্রশ্ন দিয়ে শুরু করে ঘটনা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হয়। তখনই সে দাবি করে, খুন না করার কথা।
আরও পড়ুনঃ CBI হেফাজতে কাটছে দিন! এর মাঝেই সন্দীপের জীবনে ঘোর দুঃসংবাদ! তুমুল শোরগোল
গত ২৫ আগস্ট সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়। জানা যাচ্ছে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৩ জন পলিগ্রাফ এক্সপার্ট এবং তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের দাবি, এই টেস্টে খুনের পাশাপাশি ধর্ষণের অভিযোগও অস্বীকার করেছেন সঞ্জয়। তাঁর দাবি, ধর্ষণ, খুন কোনোটাই সে করেনি। মৃতদেহ দেখেই সেমিনার হল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
পলিগ্রাফ টেস্টের পাশাপাশি নিজের আইনজীবীর কাছেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন আরজি কর ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Case) ধৃত এই যুবক। ওই একই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে সঞ্জয়ের আইনজীবী কবিতা সরকার বলেন, ‘আমি ওকে যখন জিজ্ঞেস করি, ও বলেছে খুন করেনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে’।
আরজি করে ধর্ষণ, খুনের ঘটনার (RG Kar Case) ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হলেও, বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। এবার সঞ্জয়ের দাবিতে সেই তত্ত্ব ফের একবার জোরালো হতে শুরু করেছে। এদিকে আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে রবিবার ফের রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে।