‘সামনে পেলে জুতোর মালা পরানোর চেষ্টা করতাম’! কপিল সিব্বলকে তুলোধোনা অধীরের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য থেকে রাজনীতি, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় উত্তাল সব। এই মামলায় (RG Kar Case) রাজ্যের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে লড়ছেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি আবার কংগ্রেস নেতাও বটে। এই নিয়ে আমজনতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে হাত শিবিরের নেতাদের। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

  • সিব্বলকে নিয়ে বিস্ফোরক অধীর (RG Kar Case)

আরজি করের ঘটনায় আসল অপরাধীদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবি উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কংগ্রেসের (গ্রামীণ) নেতৃত্বে রাজারহাট চৌমাথায় অনশন সত্যাগ্রহ চলেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বুধবার বিকেল ৫টা অবধি অনশন চলে। গতকাল সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেখানেই কপিল সিব্বলকে (Kapil Sibal) নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।

   
  • ডাক্তারদের পাশে আছে, বার্তা অধীরের

গতকাল অনশনকারী নিজের হাতে ফলের রস খাইয়ে দেন অধীর (Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁদের অনশন ভঙ্গ করানোর পাশাপাশি স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক কর্মীকে কংগ্রেসে যোগদানও করান তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরজি কর ইস্যু নিয়ে মুখ খোলেন। কপিল সিব্বলের প্রসঙ্গ উঠতেই বলেন, ‘আমি সামনে পেলে জুতোর মালা পরানোর চেষ্টা করতাম। টাকার জন্য মানুষ কতটা নীচে নামতে পারে? এছাড়া ওনার সম্পর্কে আর কী বলতে পারি!’

আরও পড়ুনঃ ৯০৮৮৮৮৫৫৪৪ নম্বর চালু! এবার বড় পদক্ষেপ নিল মমতা সরকার, এক ফোনেই মুশকিল আসান

একইসঙ্গে এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের (RG Kar Case) পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘এই জুনিয়র ডাক্তাররা দেখিয়ে দিয়েছে আন্দোলন কীভাবে করতে হয়। যাদের কোনও রাজনৈতিক রঙ লাগে না। কোনও রাজনৈতিক পতাকা লাগে না। কোনও নেতার দরকার নেই। হক ও বিচারের দাবি কীভাবে আন্দোলন করতে হয় সেটা তাঁরা শিখিয়ে দিচ্ছেন’।

Adhir Ranjan Chowdhury RG Kar case

এরপর আরজি কর ইস্যুতে (RG Kar Case( রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে অধীর বলেন, ‘রোজই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নানান অজুহাত করে লোক দেখানোর চেষ্টা করছেন। দেখো, আমি চিকিৎসকদের পাশে রয়েছি। যদি মুখ্যমন্ত্রী সত্যিই সঠিক বিচার চাইতেন তাহলে তাঁর গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে হাসপাতালে হামলা চালাতেন না। পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখানো, মঞ্চে দাঁড়িয়ে হুমকি দিতেন না। এখন এই সব যখন কিছু কাজে দিল না, তখন নত হওয়ার ভান করছেন। যদি উনি সত্যিই বিচার চাইতেন ও মুখ্যমন্ত্রী পদ ও গরিমাকে সম্মান করতেন তাহলে জুনিয়র চিকিৎসকদের ডেকে পাঠাতেন। নাহলে উনি নিজে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতেন’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর