বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার (RG Kar Case) পর শিরোনামে উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি নাম। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, অধ্যাপক-চিকিৎসক দেবাশিস সোমদের এখন কমবেশি সকলেই চেনেন। এমনই একটি নাম হল অভীক দে (Avik De)। গত কয়েকদিনে তাঁকে নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে তাঁরই একটি ছবি।
অভীক দে-র নতুন ছবি ঘিরে শোরগোল (RG Kar Case)!
কয়েকদিন আগে আরজি করের (RG Kar Case) ক্রাইম সিনের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দেখা মিলেছিল বহু ব্যক্তির। তাঁদের মধ্যে ছিলেন লাল জামা পরা একজন। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল তিনি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। যদিও পরবর্তীতে আইএমএ বেঙ্গলের তরফ থেকে দাবি করা হয়, সেই ব্যক্তি আদতে অভীক, এসএসকেএম হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষের ট্রেইনি। যা নিয়ে সেই সময় বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল।
- ফের কেন শিরোনামে অভীক?
সম্প্রতি সেই অভীকের আরও একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে বর্ধমান জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি স্বরাজ ঘোষের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) আবহে এই ছবি ভাইরাল হতেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের কথায়, শিকড় অনেক দূর গিয়েছে। টান পড়লেই বেরিয়ে আসবে একাধিক নাম।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই বড় দুঃসংবাদ! তৃণমূল ছাড়লেন হেভিওয়েট নেতা, তোলপাড় রাজ্য!
স্বরাজের অবশ্য দাবি, অভীক রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রাক্তন নেতা। তাঁর কথায়, ‘অভীক দে একজন চিকিৎসক। উনি রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন। আমিও সেই একই সংগঠনের কর্মী। সেই হিসেবেই পরিচয়’। সম্প্রতি অভীক এবং স্বরাজের বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এর মধ্যে কোনও ছবি মন্দিরে, কোনও ছবি বিয়েবাড়ির, কোনও ছবি আবার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তোলা।
অভীকের সঙ্গে ছবি প্রসঙ্গে স্বরাজের স্পষ্ট কথা, থাকতেই পারে। অনেকেরই এই রকম ছবি থাকে। এগুলো নিয়ে রাজনীতি করার কোনও মানে নেই। বিরোধীরা অভিযোগ করবেই বলে দাবি করেন তিনি (RG Kar Case)। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বর্ধমান জেলা বিজেপির মুখপাত্র চিকিৎসক সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পদ্ম নেতা (BJP) বলেন, ‘এক জায়গায় বলে পরিকল্পনা করলে ছবিতে তো দেখা যাবেই। মানুষ দেকগতে পাবে। একটা ছবি তো সামনে এসেছে। স্বরাজ এবং অভীক একসঙ্গে আছেন এই রকম অনেক ছবি আছে। অভীক দে মেডিক্যাল, স্বরাজ বাকি কলেজগুলো দেখেবে। এবার জনগণ পথে নেমেছে’।