জামিন খারিজ! আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ-অভিজিতের সর্বোচ্চ শাস্তি? আদালতের মন্তব্যে তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় ফুঁসছে গোটা রাজ্য। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব প্রত্যেকে। এমতাবস্থায় সামনে এল বড় খবর! ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় (RG Kar Case) ধৃত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল শিয়ালদহ আদালত।

  • সন্দীপ-অভিজিতের সর্বোচ্চ শাস্তি (RG Kar Case)?

জানা যাচ্ছে, আদালতে সন্দীপ (Sandip Ghosh)-অভিজিতের আইনজীবী বলেন, এখনও অবধি ধর্ষণ কিংবা খুনে সরাসরি তাঁদের মক্কেলের সংযোগ পাওয়া যায়নি। সিবিআই এখনও তেমন কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। তবে আদালত নির্দেশনামায় জানায়, ‘এই ধরণের গুরুতর মামলা যদি প্রমাণিত হয়, মৃত্যুদণ্ড অবধি হতে পারে। বিরলতম ঘটনা বলে প্রমাণিত হলে, তা অবিচার করা হবে’।

মঙ্গলবারই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসির জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় শিয়ালদহ আদালত। সেই সঙ্গেই সিবিআইয়ের (CBI) তরফ থেকে যে রুদ্ধদ্বার শুনানির আবেদন করা হয়েছিল, সেটাও মঞ্জুর করেনি আদালত। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি ছিল, মামলার সকল তথ্য বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই এই মামলায় রুদ্ধদ্বার শুনানি করা হোক।

আরও পড়ুনঃ অভিষেকের মেয়ের উদ্দেশে কুমন্তব্য করে গ্রেফতার! এবার ‘বিরাট পদক্ষেপ’ অভিযুক্ত দুই মহিলার

সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে পাল্টা শিয়ালদহ আদালত জানায়, আরজি কর মামলার (RG Kar Case) স্পষ্টতা, স্বচ্ছতা, শুদ্ধতা এবং বিচার বিভাগের মর্যাদা বজায় রাখার জন্য খোলা আদালতে শুনানি হওয়া প্রয়োজন। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাট হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

RG Kar case CBI big claim about Sandip Ghosh Abhijit Mondal in Sealdah Court

পদ্ম নেতার দাবি, এই ঘটনায় তথ্যলোপাটের ভরকেন্দ্র ছিল টালা থানা। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার টালা থানায় তৎকালীন ওসি অভিজিতের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তৃণমূল নেতৃত্ব এই কাজ করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। একইসঙ্গে দাবি করেন, এখন অভিজিৎকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে। সুকান্তর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে পুলিশ এবং প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরাও জড়িত।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর