বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এবার এই নিয়েই সামনে আসছে বড় আপডেট!
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) নয়া তথ্য হাতে পেল সিবিআই?
টালা থানার তৎকালীন ওসি গ্রেফতার হওয়ার পরেই নানান কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে। ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy) তিনি আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন, এমন জল্পনাও কানে আসে। এই আবহে একটি নামি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হল, এখনও অবধি নাকি অভিজিৎ মণ্ডলের ‘মোটিভ’ খুঁজে পায়নি সিবিআই।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন অনুযায়ী, সঞ্জয়ের নেপথ্যে সন্দীপ এবং অভিজিৎ (Abhijit Mondal) রয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রমাণ জোগাড় করতে নাকি চাপে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তাই নয়, ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, সঞ্জয় নাকি জেরায় জানিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ একথা জানলেও তাঁর সঙ্গে পরিচয় ছিল না। একইরকমভাবে অভিজিতের সঙ্গেও তাঁর কোনও কথা অথবা পরিচয় হয়নি বলে দাবি করেছে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার। সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘লাদেনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ’! আদালতে দাঁড়িয়ে আইনজীবী যা বললেন … তোলপাড়
এখানেই শেষ নয়! ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) যেদিন মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেদিন অভিজিৎ এবং সন্দীপের ফোন থেকে বেশ কিছু ফোন গিয়েছিল। সেই কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সেখানেও সঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁদের সরাসরি যোগাযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি বলে খবর।
এদিকে আজ আবার শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর মামলার (RG Kar Case) চার্জ গঠন হয়েছে। ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং হত্যার ধারায় চার্জ গঠিত হয়েছে বলে খবর। বন্ধ দরজার পিছনে আজ এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলেছে। সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত।