আরজি কর কাণ্ডে এবার এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত! তালিকায় কারা? ‘ফাঁস’ হল নাম

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। সূর্যাস্তের পর তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত থেকে শুরু করে ভিডিওগ্রাফি, রিপোর্ট, সবকিছু নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের যে ভিডিও করা হয়েছে সেখানে তাঁর দেহের আঘাতের চিহ্ন খুব একটা স্পষ্ট নয় (RG Kar Case)। যে কারণে তদন্তে অসুবিধা হচ্ছে। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে এল ১৫টি ছবি। যা সেদিন ময়নাতদন্তের সময় খুব কাছ থেকে মোবাইলের ক্যামেরায় তোলা হয়েছিল।

  • সিবিআইয়ের ‘ভরসা’ ময়নাতদন্তের ১৫টি ছবি (RG Kar Case)

কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের ভিডিও নানান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দেখিয়ে শরীরের আঘাত সম্বন্ধে একটা নিশ্চিত জায়গায় পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই দিল্লি এইমস ও কল্যাণী এইমসের ফরেন্সিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের (Forensic Expert) সেই ভিডিও দেখানো হয়েছে। তবে তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। খুব স্পষ্ট কিছু বোঝা যায়নি বলে খবর।

এমতাবস্থায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে এসেছে ময়নাতদন্তের দিন তোলা ১৫টি ছবি। যা নির্যাতিতার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলে থাকা একজন চিকিৎসক তুলিয়েছিলেন। তিন সদস্যের সেই ময়নাতদন্তকারী দলের প্রত্যেককেই ইতিমধ্যে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই সময়ই ওই ডাক্তার তাঁর কাছে থাকা ১৫টি ছবির বিষয়ে গোয়েন্দাদের জানান বলে খবর। এরপর সেই ছবিগুলি সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুনঃ সরকারি কর্মীদের পোয়া বারো! DA বাড়ানোর আগেই বড় সুখবর! জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি

সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ডিজিটাল ফরেন্সিকের মাপকাঠি অনুসারে সবকটি ছবি ঠিকঠাক তোলা হয়েছে এবং তাতে কোনও রকম বিকৃতি ঘটানো হয়নি। এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই সিবিআই সেগুলি সংগ্রহ করে ও পরীক্ষার জন্য পাঠায়।

RG Kar case

জানা যাচ্ছে, তদন্তকারীরা জেনেছেন, সূর্যাস্তের পর নির্যাতিতার (RG Kar Case) ময়নাতদন্ত কেন করা হবে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর ওই ডাক্তার যখন দেখেন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তখন তা খটকা লাগে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সেই সময় মর্গে উপস্থিত আর একজন ডাক্তার-পড়ুয়াকে দিয়ে নিজের ফোনে ওই ছবিগুলি ক্যামেরাবন্দি করান। নির্যাতিতার শরীরের বাইরের নানান আঘাত থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের ক্ষত, ব্যবচ্ছেদের পর শরীরের ভেতরের নানান অংশের ক্ষত, যে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলির ছবি তোলানো করান ওই ডাক্তার। এবার এই ছবিগুলি তদন্তপ্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

এদিকে আবার জানা যাচ্ছে, ‘থ্রেট কালচার’এর অভিযোগে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির কাছে ১৩ জন ডাক্তারের নাম দিয়ে চিঠি দিয়েছেন আরজি করের (RG Kar Case) অধ্যক্ষ মানস কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সই রয়েছে উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়েরও। জানা যাচ্ছে, ওই ১৩ ডাক্তারের মধ্যে নাম রয়েছে ফিজিওলজির অধ্যাপক চিকিৎসক বুলবুল মুখোপাধ্যায়ের। যিনি আবার আরজি করের সুপার ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর