বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৯ আগস্ট। আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। পরবর্তীতে জানা যায়, ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের (RG Kar Case) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক তথ্য পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা!
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) আরও বিপাকে সন্দীপ?
রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ (Sandip Ghosh) এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের একাধিক ফোন কল রেকর্ডিং মিসিং ছিল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তথ্য গোপন করার জন্যই অভিজিতের ফোন থেকে সেই সকল রেকর্ডিং মুছে ফেলা হয়েছিল। এবার সেই সকল রেকর্ডিং পেয়ে গেল তদন্তকারী সংস্থা।
জানা যাচ্ছে, আরজি করে (RG Kar Case) চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন তথা ৯ আগস্ট অভিজিৎ এবং সন্দীপের ফোনে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, অভিজিতের ফোনে অটো কল রেকর্ডিং অন করা ছিল। যে কারণে সমস্ত ফোন কল রেকর্ড হতো। ঘটনার দিন অভিজিৎকে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। সেই টেলিফোনিক কথোপকথনের বেশ কিছু মুছে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের।
আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনে টিকিট পাওয়ার দৌড়ে প্রয়াত সাংসদের ২ পুত্র! এরই মাঝে নয়া বিতর্কে তৃণমূল
এবার ফরেন্সিক পরীক্ষার মাধ্যমে সেই সকল কথোপকথনের রেকর্ডিং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে বলে খবর। সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, তথ্য গোপন করার জন্যই এগুলি মুছে ফেলা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা এবার সেগুলি হাতে পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিতের মোবাইল ফোনের সিএফএসএল রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, দু’জনের ফোনে আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Case) পরবর্তী বেশ কিছু কল রেকর্ডিং এবং ভিডিও-ও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। সিবিআইয়ের অভিযোগ, আরজি কর কাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সন্দীপ এবং অভিজিৎ। এরপর দু’জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আর্জি জানানো হয়।