বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় ফুঁসছে গোটা রাজ্য। ৮ আগস্ট রাতে হাসপাতালের চার দেওয়ালের ভেতর কী হয়েছিল তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা অব্যাহত (RG Kar Case)। এই আবহে সামনে এল বড় খবর! জানা যাচ্ছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল ফোনের সিএফএসএল রিপোর্টে বিরাট তথ্য পেয়েছে সিবিআই।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) চাঞ্চল্যকর মোড়?
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) অভিযোগ, সন্দীপ-অভিজিৎ দু’জনেই এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়! রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, আরজি কর কাণ্ডের পর দু’জনের ফোনে বেশ কিছু কল রেকর্ডিং এবং ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গেই ঘটনাস্থলের ভিডিও-ও মিলেছে বলে খবর।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন বেশ কয়েকজনকে ফোন করেছিলেন সন্দীপ (Sandip Ghosh) এবং অভিজিৎ। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবী বলেন, ‘এই দু’জনের বিরুদ্ধে ডেটা এক্সটরশনের অভিযোগ আছে। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। সন্দীপ এবং অভিজিৎ জামিন পেলে সাক্ষীকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রমাণ নষ্ট করতে পারে। এরা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে শামিল’।
আরও পড়ুনঃ বাইক ট্যাক্সি নিয়ে একগুচ্ছ নিয়ম সরকারের! খরচ বাড়ল ৪০০০! নয়া নির্দেশিকায় শোরগোল
একইসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানান, সন্দীপ এবং অভিজিৎ এই ঘটনার (RG Kar Case) পূর্ব পরিকল্পনায় শামিল ছিলেন কিনা সেটা আমরা তদন্ত করে খতিয়ে দেখছি। সেই কারণে আবার তাঁদের জেল হেফাজতের আর্জি বলে জানান তিনি। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসির ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে আরজি কর ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় (RG Kar Case) সিবিআইয়ের তরফ থেকে আগেই অভিযোগ করা হয়েছিল, টালা থানার চার দেওয়ালের ভেতরেই এই ঘটনার তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে সন্দীপ এবং অভিজিৎ জড়িত বলে দাবি করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। এবার গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে দু’জনের মোবাইল কল রেকর্ড। কাদের কাদের কাছে ফোন গিয়েছিল, সেই প্রেক্ষিতেই তদন্ত এগোবে বলে জানা যাচ্ছে।