বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। ইতিমধ্যেই আর্থিক দুর্নীতি এবং ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। সিবিআই তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই পেঁয়াজের খোসার মতো বেরিয়ে আসছে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য (RG Kar Case)। এবার যেমন সন্দীপের বিরুদ্ধে আরও এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এল।
সিবিআই ‘রিমান্ড কপি’ ঘিরে শোরগোল (RG Kar Case)!
সম্প্রতি আদালতে দেওয়া সিবিআইয়ের (CBI) ‘রিমান্ড লেটার’এর কপি সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে। সেখানে একের পর এক মারাত্মক তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও নিহত চিকিৎসককে দেখতে দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি, ইচ্ছাকৃতভাবে মৃতার পরিবারকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
- সন্দীপের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ!
আগেই জানা গিয়েছিল, মৃতার পরিবারকে ফোন করে প্রথমে ‘আত্মহত্যা’র কথা বলা হয়েছিল। অভিযোগ, সন্দীপের (Sandip Ghosh) নির্দেশেই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার একথা বলেছিলেন! এমনকি আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষের অঙ্গুলিহেলনেই এই ঘটনা ‘ডাউন প্লে’ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। ‘রিমান্ড লেটারে’ সিবিআইয়ের দাবি, মূলত প্রমাণ লোপাটের জন্যই একাজ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ CBI-এর স্টেটাস রিপোর্ট দেখে বিচলিত! কী কী বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে? জানালেন প্রধান বিচারপতি
কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযোগ, ৯ আগস্ট সকালে ১০টা ৩ মিনিট নাগাদ টালা থানার ওসিকে ফোন করেছিলেন সন্দীপ। অভিজিৎকে সেই ঘটনা সম্বন্ধে খবর দেন তিনি (RG Kar Case)। কিন্তু নিজে ঘটনাস্থলে অনেক দেরি করে পৌঁছন। সব মিলিয়ে, সিবিআইয়ের দাবি, আরজি করে ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর অধ্যক্ষ হিসেবে সন্দীপের যা যা করণীয় ছিল, তিনি করেননি। উল্টে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ, তদন্তকারী সংস্থার ‘রিমান্ড লেটারে’ এমনটাই উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানি হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। আজ শীর্ষ আদালতে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে আদালত। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, সিবিআইয়ের রিপোর্টে যা লেখা হয়েছে তা খুবই উদ্বেগের।