কড়া ডোজেই দিল কাজ! RG Kar দুর্নীতি মামলার ১০০% নথি নিয়ে, আদালতে হাজির CBI

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের আগস্ট মাসে আরজি কর (RG Kar) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠেছিল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু এই মামলায় সময় মতো নথিপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সিবিআই। যার ফলে বিগত কয়েকদিনে একাধিকবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। অবশেষে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের ধমকেই কাজ দিল ওষুধের মতো।

আরজি কর (RG Kar) দুর্নীতি মামলার ১০০% নথি জমা দিল CBI

আদালতে ব্যাপক ভর্ৎসনা শোনার পর অবশেষে আজ শনিবার আদালতে ১০০ শতাংশ নথিপত্র জমা দিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এদিন শুনানির শুরুতেই সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানান তদন্তকারীরা চার্জশিট সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র নিয়ে এসেছেন। পেনড্রাইভ কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অভিযুক্তদের সমস্ত নথি দিতে পারবে সিবিআই। এরপর বিচারক অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীদের কাছে প্রশ্ন করেন তারা পেনড্রাইভে সেই তথ্য নিতে পারবেন কিনা? এরপর অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী পাল্টা জানতে চান, সিবিআই ১০০ শতাংশ নথিপত্র দিতে পারবে কিনা।  বিচারক জানান তিনি মেলে নথিপত্র নিতে পারেন।

আরজি করের (RG Kar) আর্থিক দুর্নীতির মামলায় চার্জ গঠন প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি নিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী। শনিবার আদালতে মামলা  চলাকালীন সেই প্রসঙ্গ তোলেন বিচারক। আইনজীবীকে সরাসরি তিনি প্রশ্ন করেন গতকাল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতকে না জানিয়ে তিনি কেন কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন? জবাবে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের আইনজীবী সাফ জানান তিনি হাইকোর্টে যাননি। অন্য আইনজীবী গিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য এর আগে বৃহস্পতিবার এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিককে শোকজ করে করেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। অভিযোগ ওঠে রাজ্যের তরফে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের অনুমতি মিললেও তা আলিপুর আদালতকে না জানিয়েই হাইকোর্টে যায় সিবিআই। এই মামলার শুনানিতে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী সিবিআই-এর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন। তিনি জানান গত ২৭ জানুয়ারি রাজ্যের তরফ থেকে চার্জ গঠনের অনুমতি মিললেও তারপর তিনদিন কেটে গিয়েছে। অথচ তার পরেও আদালতে কিছুই জানানো হয়নি। একথা শুনেই বিরক্ত হন বিচারক।

আরও পড়ুন: ‘দলের মধ্যেই ব্যাপক টাকার লেনদেন…’, মদনের বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড়

তারপর সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিক মণীশ উপাধ্যায়কে বিচারক সরাসরি বলেন, ‘হাইকোর্ট জানতে পারলো, কিন্তু ট্রায়াল কোর্ট জানলো না? ট্রায়াল কোর্টকে বাইপাস করে হাইকোর্টে যাচ্ছেন?’ এর পরেই সিবিআইকে শোকজ করে আগামী সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

RG Kar Case

শুক্রবার এই মামলায় (RG Kar) সিবিআইকে আরও একবার ভর্ৎসনা করে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন ১০০ শতাংশ নথি জমা দিতে ব্যর্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা? এদিন সেই প্রশ্ন করেন বিচারক। যদিও সিবিআইয়ের তরফে সাফাই দিয়ে জানানো হয়, জেরক্স করাতে সময় লাগছে তাই আদালতে নথিপত্র জমা দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর