বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় প্রথমে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করেছিল। পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। গোড়া থেকে পুলিশের তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরেও এই বিষয়টি উঠে এসেছে বলে খবর (RG Kar Case)। কলকাতা পুলিশের তদন্ত কেমন ছিল? যথাযথ তদন্ত হয়েছিল নাকি তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছিল? এখন এমনই নানান প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা।
সন্দীপ-অভিজিৎকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা (RG Kar Case)?
শনিবার চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। রবিবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়। জানা যাচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করে, কীভাবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে এর উত্তর জানতে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে।
- ৪ জনকে সমন পাঠাল তদন্তকারী সংস্থা
সিবিআইয়ের তরফ থেকে আগেই দাবি করা হয়েছিল, আরজি কর কাণ্ডে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ থাকতে পারে। এবার জানা গেল, এই ঘটনায় যে তথ্য তাদের হাতে এসেছে, সেটার ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের ৪ জন অফিসারকে সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাদের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে এই অফিসাররা যুক্ত থাকতে পারেন। সন্দীপ (Sandip Ghosh)-অভিজিৎ ‘আঁতাতে’ আরও বেশ কয়েকজন জড়িয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই কারণেই কলকাতা পুলিশের ৪ জন অফিসারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই ৪ জনের মধ্যে আবার ২ জন সাব ইনস্পেক্টর রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মঙ্গলেই ঘুরে যাবে ‘খেলা’! আরজি কর মামলার সুপ্রিম শুনানিতে কোন কোন বিষয়ে নজর থাকবে?
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানি রয়েছে। আগামীকাল তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করার কথা রয়েছে। তার আগে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কিছু পুলিশ আধিকারিকের কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি সিবিআইয়ের নজরে এসেছে। সেই কারণেই কলকাতা পুলিশের ৪ অফিসারকে সমন পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই অফিসারকে নাম এবং পদ খোলসা করা হয়নি।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুলিশ অফিসারদের একাংশ কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দাদের সম্পূর্ণ ভুল পথে চালিত করেছে। তাঁরাই প্রমাণেও গরমিল করেছেন বলে অভিযোগ। সন্দীপের অঙ্গুলিহেলনেই এই কাজ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কেস ডায়েরিতেও বেশ কিছু গরমিল রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা (RG kar Case) কে বা কারা ঘটাল, কী কী তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হল এবং সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রে কারা জড়িত? আপাতত এই তিন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই।