বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) অপরাধীর সংখ্যা একাধিক? শুধুমাত্র অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার নন, সেদিন রাতে কি ছিল আরও কেউ? ফের একবার এই প্রশ্ন উস্কে দিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক। রবিবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ফোরামের সদস্যরা। এরপরেই বিস্ফোরক দাবি করেন পূর্ব বর্ধমানের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামী। একজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়, বললেন তিনি।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) মারাত্মক দাবি হাসপাতালের চিকিৎসকের!
নিহত চিকিৎসকের (RG Kar Hospital) পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডাক্তার গোস্বামী বলেছিলেন, তরুণী চিকিৎসকের মা তাঁকে জানিয়েছেন, কেস ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পুলিশের একজন শীর্ষ আধিকারিক তাঁদের টাকার অফার দিয়েছিলেন। এরপর সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সামনে আরও বেশ কিছু বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, নিহত তরুণীর যৌনাঙ্গের ভেতর থেকে প্রায় ১৫০ গ্রামের বেশি তরল নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছুটা হয়তো রক্তমাখা বীর্য হতে পারে। চিকিৎসক গোস্বামী বলেন, ‘আমাদের যেটা মনে হয় এটা একজনের বীর্য হতে পারে না। নমুনা ঠিক করে পরীক্ষা করলে দেখা যেতে পারে তিন-চারজনের বীর্য হতে পারে’।
আরও পড়ুনঃ শেষবেলাতেও নির্যাতিতাকে ‘অপমান’? সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম ভাঙলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ
এখানেই না থেমে ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামী আরও বলেন, ‘মেয়ের মা-বাবা, পরিবারের যা আশঙ্কা, আমাদেরও তাই আশঙ্কা যে এটা একজনের ধর্ষণ নয়, এটা গণধর্ষণের ঘটনা। যে যে বিষয়গুলি বললাম, তা থেকে আমাদের মনে হয়েছে, এত আঘাত একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁকে শ্বাসরোধ করে অথবা ঝুলিয়ে মারা একার পক্ষে সম্ভব ছিল না’।
শুধু তাই নয়, পূর্ব বর্ধমানের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এও বলেন, অভিযুক্তের শরীরে (উন্মুক্ত অংশে) তেমন কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই (RG Kar Case)। এটা স্বাভাবিকভাবে হয় না। কারণ ধর্ষিতা নিজেকে প্রাণপনে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন। অভিযুক্তের মুখে, হাতে এমন কোনও চিহ্ন চোখে পড়েনি। তাহলে কি বাকিদের সময় দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন চিকিৎসকের।