বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে বর্তমানে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর সামনে এসেছে সন্দীপ ঘোষের জমানায় হাসপাতালে হওয়া একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। বেওয়ারিশ লাশ বিক্রি থেকে টেন্ডারে কারচুপি, অভিযোগ উঠেছে একাধিক (RG Kar Case)। এর মধ্যে শবাগারে দুর্নীতিতে সন্দীপের মুখ্য সহায়তাকারী হিসেবে উঠে এসেছিল হাসপাতালেরই আর এক ডাক্তার দেবাশিস সোমের নাম। এবার তাঁর জীবনেই নেমে এল বড় বিপদ।
কী হয়েছে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) দেবাশিসের?
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর সিবিআই জেরার মুখে পড়েছেন সন্দীপ সহ হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন এক দেবাশিস (Debasish Som)। শুধু তাই নয়, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দেবাশিসের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল। বর্তমানে তিনিই অতি সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
- কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেবাশিসকে?
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, রবিবার বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) ফরেন্সিক মেডিসিনের এই চিকিৎসক। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। চলছে বাইপ্যাপ। দেবাশিসের অবস্থা অতি সংকটজনক বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ‘টাকা খেতে যান’! পুরকর্মী অন্যায় করলেই সোজা গ্রেফতার, ফিরহাদের এক ঘোষণায় তোলপাড়
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। শরীরে অজস্র আঘাতের চিহ্ন, অবিন্যস্ত পোশাক, এই অবস্থাতেই পাওয়া গিয়েছিল তাঁকে। জানা যায়, ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ভোর ৪টের আশেপাশে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয় চিকিৎসকের মৃতদেহ।
হাসপাতালের অন্দরে মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় ফুঁসে উঠেছে গোটা রাজ্য। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব প্রায় প্রত্যেকে। এই আবহেই সামনে আসতে থাকে সন্দীপের (Sandip Ghosh) আমলে হাসপাতালে হওয়া নানান দুর্নীতির কথা। সেই সঙ্গেই সামনে আসতে থাকে প্রাক্তন অধ্যক্ষের সহায়তাকারীদের নাম। এই সূত্রেই উঠে আসে ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক দেবাশিস সোমের নাম।
দেবাশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আরজি করের (RG Kar Case) শবাগারে যে দুর্নীতির চক্র চলতো, তাতে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের প্রধান শাগরেদ ছিলেন তিনি। মরদেহ বিক্রি থেকে শুরু করে মরদেহের অঙ্গ পাচারের যে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে, সেখানেও এই দেবাশিসের নাম উঠে আসছে। এসবের জন্য একাধিকবার সিবিআই জেরার মুখে পড়েছেন এই চিকিৎসক। সব মিলিয়ে, আরজি কর কাণ্ডের অত্যন্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ’ চরিত্র হয়ে উঠেছেন তিনি।