বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় দু’মাস হতে চলল। এখনও জট খুলল না আর জি কর (RG Kar Case) মামলার। গত ৯ অগস্ট হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ৩১ বছরের তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুনের (Doctor Rape and Murder Case) ঘটনা সাড়া ফেলেছে গোটা দেশে। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে CBI. আর সেই তদন্তে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। যা শুনে রীতিমতো শিউরে উঠতে বাধ্য।
সিবিআই সূত্রে, গণপিটুনির ঘটনায় যে ভাবে শরীর জুড়ে আঘাতের চিহ্ন থাকে, তেমনই অজস্র ক্ষতচিহ্ন মিলেছিল নির্যাতিতা তরুণীর দেহেও। চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে আগেই সঞ্জয় রায় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তদন্তকারীদের দাবি, যা ক্ষত মিলেছে তা ‘কারও একার পক্ষে করা অসম্ভব’। এতে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকে তত্ত্ব উঠে আসছে।
সিবিআই তদন্তকারীদের অনুমান, দোষীদের আসল উদ্দেশ্য ছিল তিলোত্তমাকে খুন করা। পরে খুনের ঘটনার মোড় ঘোরাতেই ধর্ষণের মতো কাজ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। সিবিআই তদন্তে প্রতি পদে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ‘প্রমাণ লোপাটে’র চেষ্টা। মৃতার ময়না তদন্তের রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। এদিকে ময়না তদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি অস্পষ্ট ত্রুটিপূর্ণ ছবিগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষাগারে বিশ্লেষণ ও আশেপাশে থেকে উদ্ধার হওয়া যাবতীয় তথ্যপ্রমাণের ফরেন্সিক বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার তত্ত্ব মিলছে।
মৃতার দেহের সামনের অংশে ১৫টি গুরুতর বাহ্যিক আঘাত ও ন’টি গুরুতর অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তবে দেহের পিছনের অংশের আঘাতের উল্লেখ ময়না তদন্ত বা সুরতহাল রিপোর্টে নেই। মৃতার দেহের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত সম্ভব হয়নি। তাই বর্তমানে সিবিআই এর ভরসা ফরেন্সিক বিশ্লেষণ। রিপোর্টে থাকা ক্ষতচিহ্নগুলির ফরেন্সিক বিশ্লেষণ করার পর তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, নির্যাতিতাকে কার্যত গণপিটুনির আদলে বেধড়ক মারা হয়।
আরও পড়ুন: ‘এও সম্ভব? অধিকার আছে?’, অভিষেকের মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের মামলায় বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের
সিবিআই সূত্রে দাবি, মৃতার ডান কান থেকে রক্তক্ষরণের আভাস মিলেছে। পাশাপাশি নির্যাতিতার মাথা বারংবার দেওয়াল বা শক্ত কিছুতে ঠোকা হয়ে থাকতে পারে। মৃতদেহের নীচে নীল রঙের তোয়ালের মতো একটি কাপড় থেকে রক্তের দাগ মিলেছে। তবে ময়না তদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্টে বেশ কিছু গুরুতর আঘাতের প্রসঙ্গ একেবারে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।