বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দু’মাস পার হয়ে গেল। এখনও জট খুলল না আর জি কর (RG Kar Case) কাণ্ডের। গত ৯ অগস্ট হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ৩১ বছরের তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুনের (Doctor Rape and Murder Case) ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়র নাম সামনে এনেছে সিবিআই। আর এবার তদন্তে উঠে এসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সিবিআই সূত্রে খবর, ৯ অগস্ট ভোর তিনটে ২০ মিনিটে আরজি কর হাসপাতালে এসেছিল সঞ্জয়। হাসপাতালের মোট ৫৩ সিসিটিভি ক্যামেরায় তার গতিবিধি ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজের ভিত্তিতেই সম্প্রতি নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের দাবি,
ঘটনার দিন রাত ৩টে ২০ মিনিট থেকে শুরু করে ভোর ৪টে ৩২ মিনিট পর্যন্ত সঞ্জয়ের গতিবিধি সম্পর্কে তারা জানাতে পেরেছে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায় সেই রাতে সঞ্জয় রায় হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই সময় তার হাতে ছিল হেলমেট। গলায় একটি ব্লু টুথ ইয়ারফোন ছিল। সেই সময় তাকে নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এরপর ভোর ৩টে ৩৬ মিনিট নাগাদ ভেতরে চলে যায় সঞ্জয়।
এরপর ভোর ৪টে ৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ড থেকে ভোর ৪টে ৩ মিনিট ৪৯মিনিটের মধ্যে সঞ্জয়কে ওয়ার্ডের দিকে যেতে দেখা যায়। সেই সময়ও তার গলায় ঝুলছিল হেডফোন আর হাতে হেলমেট। এরপর ভরে সঞ্জয়কে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতেও দেখা যায়। তবে সেই সময় তার গলায় হেডফোন ছিল না। ওই সময়ের মধ্যেই ধর্ষণ-খুন হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ৫৩ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অনুমান তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন: আর জি কর আবহেই SSKM হাসপাতালে ভয়ঙ্কর হামলা, হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি
পরে সঞ্জয়ের ওই ইয়ারফোনটি মেলে তরুণী চিকিৎসকের দেহ যেখানে পাওয়া যায় সেখানের নীল রঙের একটা ম্যাট্রেসের নীচ থেকে। এরপরই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায়কে। তবে সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে তার সাথে সহমত হতে পারছেন না কেউই। সিবিআই এর দেওয়া প্রথম চার্জশিটে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে একমাত্র সিভিক সঞ্জয় রায়কেই। তবে কি করে একজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।