বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনা (RG Kar Case) কি আদৌ জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুমে ঘটেছিল? গত ৫ মাসে একাধিকবার দেখা দিয়েছে সেই প্রশ্ন। সম্প্রতি সিএফএসএল রিপোর্ট (CFSL Report) প্রকাশ্যে আসার পর সেই সন্দেহ আরও তীব্র হয়েছে। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেমিনার রুমে কোনও ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এরপরেই ‘আসল’ ঘটনাস্থল নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। এই আবহে রহস্য ঘনাচ্ছে জরুরি বিভাগের ৮ তলার অর্থোপেডিক বিভাগের অপারেশন থিয়েটার ঘিরে।
কেন আরজি করের ৮ তলার ঘর নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য (RG Kar Case)?
গত ১৪ আগস্টের পর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ মতো আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর একদিন হাসপাতালের কিছু কর্মচারী জরুরি বিভাগের ৮ তলার ওই অপারেশন থিয়েটারে গিয়েছিলেন। সেখানে দেখা যায়, কিছু গ্লাভস রয়েছে। যাতে লালচে ছোপ আছে। সেই সঙ্গেই পড়েছিল অস্ত্রোপচারের জন্য ব্যবহৃত ব্লেড। এই বিষয়ে আরজি কর কর্তৃপক্ষ এবং সিআইএসএফ জওয়ানদের জানানো হয় বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, জওয়ানরা সেই ওটি খতিয়ে দেখার পর দেওয়ালে রক্তের ছোপ দেখতে পান। এরপর এই বিষয়ে সিবিআইকে (CBI) জানানো হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে মৌখিকভাবে ঘরটি সিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে সম্প্রতি সিএফএসএল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর সেই ঘর নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য।
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে চিন্তা! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থার অবনতি! ঠিক কী হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর?
জানা যাচ্ছে, অভিযোগ ওঠে, আরজি করের (RG Kar Case) জরুরি বিভাগের ৮ তলার ওই ওটি-তে কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এতদিনে নাকি সেই ঘরটাই পরীক্ষা করে দেখেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আবার জানা যাচ্ছে, ৪ তলায় নার্সিং স্টেশনের পিছনে যে লিফট রয়েছে, সেটি করে ওই ওটি-তে যাওয়া যায়। একইসঙ্গে জানা যাচ্ছে, গত ৯ আগস্ট নির্যাতিতার দেহের পাশ থেকে একটি খাম পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। যাতে চুল ছিল। সেই সঙ্গেই তরুণী চিকিৎসকের ম্যাট্রেসের নীচে পাওয়া যায় কালো-নীল রঙের একটি ইয়ারফোন। এছাড়া নির্যাতিতার দেহের নীচে পাওয়া যায় কাঁচ ভাঙা একটি চশমা।
এদিকে সিএফএসএল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন দেখা দিতে শুরু করেছে। যেই ঘরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া যায়নি, সেখানে কীভাবে নির্যাতিতার দেহের নীচে কাঁচ ভাঙা চশমা এবং ম্যাট্রেসের নীচে ইয়ারফোন আসতে পারে? এছাড়া মৃতদেহের পাশ থেকে খাম কীভাবে এল, সেই নিয়েও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে খবর।
এই বিষয়ে আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য, ‘সিবিআই আগে বলেছিল, ৮ তলার ঘর বন্ধ করে রাখুন। এখন বলছে খুলে দেওয়া যেতে পারে। এই রকম আচরণের কারণ কী? সন্দেহজনক ঘরটি কেন তদন্তের বাইরে থাকবে?’ তিনি দাবি করেন, সিবিআই ধরে নিয়েছে সঞ্জয় একমাত্র দোষী। সেই কারণে একাধিক অসঙ্গতি থাকলেও তদন্তকারীরা সেটা নিয়ে তদন্ত করছে না।