বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের দাঁতের নমুনা সংগ্রহ করল ফরেন্সিক। নির্যাতিতার শরীরে যে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে সেটা সঞ্জয়েরই কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে (RG Kar Case)। জানা যাচ্ছে, সঞ্জয়ের দাঁতের ফরেন্সিক পরীক্ষার আবেদন জানিয়ে বুধবার সিবিআইয়ের একটি টিম শিয়ালদহ আদালতে গিয়েছিল। বিচারক অনুমতি দিতেই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে অভিযুক্তের দাঁতের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সঞ্জয়ের দাঁতের গড়ন ও ধরণ পরীক্ষা (RG Kar Case)!
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, নির্যাতিতার দেহের উপরিভাগে ১৬টি আঘাত আছে। এর মধ্যে ১০টি আঘাত রয়েছে মুখ, গলা এবং ঘাড়ের নানান অংশে। ৪টি আঘাত হাত, পায়ের নানান অংশে এবং ২টি রয়েছে যৌনাঙ্গে। একইসঙ্গেই মৃতার উপরের ও নীচের ঠোঁট এবং গালেও বেশ কিছু চোটের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। সিবিআইয়ের (CBI) অনুমান, সেই আঘাতগুলি কামড়েরও হতে পারে।
- নির্যাতিতার শরীরে সঞ্জয়ের কামড়?
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃতার নীচের চোয়ালে থুতনির কাছে এবং গলার বামদিকে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন ছিল। এর মধ্যে কোন আঘাত মারধরের এবং কোন আঘাত ধর্ষণ চলাকালীন সেই বিষয়ে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হতে চান। শুধু তাই নয়, মৃতার চোয়ালের ডানদিকের অংশে ও তার কাছে গলার উপরের দিকের অংশে একটি দাগ আছে। এই দাগগুলি কি সঞ্জয়ের (Sanjay Roy) কামড়েই? এবার সেটাই নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুনঃ ৭২-এই থামল জীবনরথ, কখনও না ফেরার দেশে বাম নক্ষত্র সীতারাম ইয়েচুরি
জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক ডিএনএ পরীক্ষায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানতে পেরেছে, এই ধর্ষণের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় (RG Kar Case)। সেই কারণে নির্যাতিতার শরীরের কামড়ের দাগ ধৃতের কিনা সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে চান গোয়েন্দারা। জানা যাচ্ছে, এদিন সঞ্জয়ের দাঁত এবং চোয়ালের রেডিওগ্রাফ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর দাঁতের গড়ন ও ধরণও পরীক্ষা করেছেন ফরেন্সিক দন্ত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র মারফৎ আবার জানা যাচ্ছে, আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) নির্যাতিতার দাঁতে ধাতব ডেন্টাল ব্রেস ছিল। ময়নাতদন্তের সময় সেটি আলাদাভাবে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই সেটিরও ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে চায় বলে চায় বলে খবর। সেই সঙ্গেই আরও কয়েকটি দেহাংশও এইমসে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিন ফরেন্সিক দন্ত চিকিৎসকদের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় এজেন্সি জমা করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।