বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা রাজ্য। এরপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ৯ মাস। এই মামলার বিচারপর্ব প্রায় শেষের মুখে। আগেই জানা গিয়েছিল, ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের জন্য (Sanjay Roy) সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে সিবিআই (CBI)। এবার রায়দান কবে করা হবে সেই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরজি কর মামলার (RG Kar Case) রায়দান কবে করবে আদালত?
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির চার্জশিটে একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে এই সঞ্জয়ের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই বিশেষ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই নারকীয় ঘটনা একজনের পক্ষে করা সম্ভব।
ঘটনার রাতে আরজি করের (RG Kar Case) সেমিনার হলের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে ধৃত সঞ্জয়কে দেখা গিয়েছিল। সেই সঙ্গেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছিল তাঁর হেডফোন। জানা যাচ্ছে, সেই সূত্রেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সঞ্জয়ের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার ফের শিয়ালদহ আদালতে এই মামলার শুনানি রয়েছে। এদিন ফের সিবিআইয়ের তরফ থেকে সঞ্জয়ের ফাঁসির আবেদন জানানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ নববর্ষে ওলটপালট! TRP-তে পিছিয়ে ফুলকি-কথা! নতুন বেঙ্গল টপারের নাম দেখলে বিশ্বাস হবে না!
এদিকে সঞ্জয়ের আইনজীবীর দাবি, ধৃত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে নির্যাতিতার দেহে ধস্তাধস্তির চিহ্ন থাকা উচিত। তাঁর পোশাক ছিঁড়ে যাওয়ার কথা। তবে এমনটা হয়নি। সেই সঙ্গেই অভিযুক্তের আঙুলের ছাপও মেলেনি। এই যুক্তি সামনে রেখে তিনি দাবি করেন, সঞ্জয়কে ফাঁসানো হচ্ছে। সেই কারণে তাঁকে বেকসুর খালাস করার আবেদন জানিয়েছেন সঞ্জয়ের আইনজীবী।
এদিকে আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার পরিবার আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে। আরও তদন্ত চেয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করতে চলেছেন তাঁরা। তিলোত্তমার মা-বাবার দাবি, ধর্ষণ খুনের এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত। তাঁদেরও খুঁজে বের করা হোক। এই আবহে কেউ কেউ মনে করছেন, এই মামলার বিচারপর্ব যেহেতু শেষের মুখে, তাই চলতি মাসের মধ্যেই রায়দান করা হতে পারে। সেই সঙ্গেই অনুমান করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবারই রায়দানের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে আদালত।