বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হয়েছে। সেদিন বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ফের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চে এই মামলার (RG Kar Case) শুনানি হবে। গত শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালত তাদের পর্যবেক্ষণের পর যে যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেগুলি কতখানি কার্যকর হয়েছে, সেই প্রসঙ্গ আগামী শুনানিতে উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন কোন বিষয়ে নজর থাকবে (RG Kar Case)?
১৭ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিয়েছিল সিবিআই। মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া সেই রিপোর্ট পড়ে আদালত জানিয়েছিল, তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় যদি এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে তাহলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির (CBI) জমা দেওয়া রিপোর্টে কী রয়েছে সেটা প্রকাশ্যে না আনলেও তদন্ত নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
- ‘ছয় দফা’ নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত!
গত মঙ্গলবার আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানিতে বেশ কিছু বিষয়ে সওয়াল জবাব চলেছিল। রাতে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিয়ে দেওয়া রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, একাধিক বিষয় সেদিন উঠে আসে। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে ‘ছয় দফা’ নির্দেশও দেয়া হয়েছিল। সেগুলির কতদূর অগ্রগতি হল সেটা পরবর্তী শুনানিতে খতিয়ে দেখা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ‘৭ দিনের মধ্যে…’! স্কুল শিক্ষকদের জন্য বিরাট খবর! পুজোর আগেই জারি নয়া নির্দেশিকা
মঙ্গলবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ ছিল, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসক, মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে হাসপাতালে শৌচালয় এবং সিসিটিভি বসাতে হবে। মহিলা ডাক্তাররা সেমিনার হলে রেস্ট নিতে গেলে তাঁদের বায়োমেট্রিক নেওয়া প্রয়োজন। সুরক্ষার জন্য এই বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
১২ সেপ্টেম্বর তদন্ত সম্বন্ধিত কিছু বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআইকে চিঠি দিয়েছিলেন আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার বাবা। সেই চিটি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার (RG Kar Case) পর হাসপাতালের সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে এবং উইকিপিডিয়া থেকে নির্যাতিতার নাম এবং ছবি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে আদালতের অবস্থান কার্যত একই ছিল। জুনিয়র চিকিৎসকরা যদি ফের কাজে যোগ দেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছিল আদালত।