বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার এই মামলার (RG Kar Case) শুনানি হয়েছে। সোমবার ফের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।
আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানি
গত ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। রাজ্যের তরফ থেকে তা পিছনোর অনুরোধ করা হয়। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে শুনানি ৩ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। আজ ফের একবার এই মামলা নিয়ে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) সওয়াল জবাব হচ্ছে। আজ কোন কোন বিষয় উঠে আসে সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।
এদিন বিকেল ৪:১৫ মিনিট নাগাদ আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানি শুরু হয়। প্রথমেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শুনানির দিন বদলের আবেদন জানান। মঙ্গলবার কিংবা বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির আবেদন জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ কোনো যোগ্যতাই নেই! BJP করেন বলেই দাদাসাহেব ফালকে পাচ্ছেন মিঠুন! বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা
এদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন,তিনি দু’টি জরুরি বিষয়ে কথা বলতে চান। আজ আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হতে না হতেই পাঁচ মিনিটের জন্য উঠে যান তিন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, ‘আমরা ৫ মিনিট পর আসছি’। একথা বলে আসন ছেড়ে উঠে পড়েন তাঁরা। ৫ মিনিট পর ফের ফিরে আসেন।
আজকের শুনানির আগেই আইনজীবী বদল করেছে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) নির্যাতিতার পরিবার। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বদলে আজ সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করছেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। তিনি বলেন, চিঠি নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই পদক্ষেপ নিয়েছে। একইসঙ্গে জানান, নির্যাতিতার ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সেকথা শুনে সিজেআই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আগেই এই নিয়ে আমরা নির্দেশ দিয়েছি’। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই প্রসঙ্গে বলেন, এই বিষয়টা রাজ্যের দেখা উচিত। নির্দিষ্ট করে কোথায় পোস্ট করা হচ্ছে সেই বিষয়ে পরিবারের তরফ থেকে জানানো হলে বিষয়টি দেখা হবে। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে আরজি কর নিয়ে হওয়া স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি আপাতত বন্ধের আর্জি জানানো হয়। আবেদন করা হয়, ওই ছবি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হোক। প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই সিনেমা বন্ধের নির্দেশ দিতে হলে শুনানির দরকার আছে। এরপরেই সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখতে চায় আদালত। কেন্দ্রীয় এজেন্সি তা পেশ করতেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেন প্রধান বিচারপতি।